• ‘সিপিএম আর বিজেপির সেটিংয়ে মাথা তুলছে মস্তানরা’, পুলিশ আধিকারিককে ধমক কল্যাণের
    প্রতিদিন | ১৫ আগস্ট ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি:  তাঁর সংসদীয় এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ। গত কয়েকদিন আগেই খুন হতে হয় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে। একের পর এক তোলাবাজির ঘটনা সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোন্নগর ফাঁড়ির দায়িত্ব থাকা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে প্রকাশ্যে ধমক। বৃহস্পতিবার প্রাক স্বাধীনতা দিবসে একটি রক্তদান শিবিরে অংশ নেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কেন দিন দিন অপরাধ বাড়ছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোন্নগর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ধমক দিতে শোনা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গুণ্ডাগিরি যে কোনও মতেই তিনি বরদাস্ত করবেন না তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে অবিলম্বে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেন।

    শ্রীরামপুর লোকসভার অন্তর্গত কোন্নগর কানাইপুর এলাকায় সম্প্রতি দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বেড়েছে। কানাইপুর এলাকায় খুন হতে হয়েছে তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্য। শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজির অভিযোগের ঘটনার কথাও সামনে এসেছে। একের পর এক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। যদিও দুটি ঘটনাতেই পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুজনই এলাকার কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতী। এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”গুণ্ডাগিরি কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। দিন দশ পনেরো দিন দেখছি কোন্ননগরে দুষ্কৃতীদের বাড়াবাড়ি হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে বলেছি গুন্ডাগিরি যেন বন্ধ হয়”।

    এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”সিপিএম আর বিজেপির সেটিংয়ে এই সমস্ত মস্তানগুলো এখানে মাথা তুলছে। কোন ধরনের গুন্ডারাজ মোটেই বরদাস্ত করা হবে না”। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেও একের পর এক খুনের ঘটনা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থানাগুলির পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)