ওদেরই পাশে…পথকুকুরদের খাওয়ার জন্য ৪৮৭ টি রাস্তা চিহ্নিত করল কলকাতা পুরসভা
প্রতিদিন | ১৫ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: পাড়ায় পাড়ায় ‘না-মানুষের ক্যান্টিন!’ পথকুকুরদের অপসারণ ঘিরে এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে দিল্লি। ঠিক সেই সময় মহানগরীর ৪৮৭টি রাস্তাকে প্রাথমিকভাবে পথকুকুরদের খাবারের জন্য চিহ্নিত করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সংখ্যাটি ৪৮৭ হলেও এই সংখ্যায় যে শহরের সিংহভাগ পথকুকুরের নিরাপদে খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে না, তা বুঝেছে পুর স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রকাশ করা হবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও পশুপ্রেমী বেলগাছিয়া প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত নেওয়া হবে। বাড়ানো হবে গলির সংখ্যা। কলকাতা পুরসভার মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকর্তা রনিতা সেনগুপ্তর কথায়, ”কলকাতার ১৪১টি ওয়ার্ডে পথকুকুরের সংখ্যা পাঁচ বছর আগে ছিল প্রায় ৭০ হাজার। এই তথ্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের।” স্বাস্থ্য বিভাগের আরেক আধিকারিকের মতে, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী পশুপ্রেমী সংস্থার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, প্রায় তিন লাখের মতো পথকুকুর শহরের গলি থেকে রাজপথ ঘুরে বেড়ায়। পুরসভার পক্ষে পথকুকুরদের দু’বেলা খাওয়ানোর কোনও ভাবনাচিন্তা নেই।
পথকুকুরের সংখ্যা পাঁচ বছর আগে ছিল প্রায় ৭০ হাজার। এই তথ্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের। এনজিও সূত্র বলছে, প্রায় তিন লাখের মতো পথকুকুর শহরের গলি থেকে রাজপথ ঘুরে বেড়ায়। তবে পথকুকুরদের নিরাপত্তার জন্য কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেগুলি যাতে আরও ভালো করে মানা হয়, তার জন্য বরোভিত্তিক ভেটেরেনারি ডাক্তার, স্থানীয় কাউন্সিলর অধবা তাঁর মনোনীত সদস্য এবং পশুপ্রেমী সংস্থাগুলিতে নিয়ে আলোচনা কবে আরও কয়েকটি বিষয়কে যুক্ত করা হবে। যেমন সকাল সাতটার আগে এবং রাত সাতটার পরই পথকুকুরদের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় খেতে দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পশুপ্রেমী সংস্থাকে।
সমস্যা হল, এক এলাকার পথকুকুরকে অন্য এলাকায় পাঠালে রীতিমতো সমস্যা হয়। এমনকী, এক রাস্তার কুকুরকে অন্য রাস্তায় রাখা যায় না। এই অবস্থায় সব গলিতে খাবারের ব্যবস্থা করা রীতিমতো কঠিন। তাই সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল পথকুকুরের নির্বীজকরণ। এই কাজে অনেকটাই চিলেমি দেখা গিয়েছে। তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে কত সংখ্যক পথকুকুরের নির্বীজকরণ করা হচ্ছে, প্রতি মাসে সেই তথ্য পুরসভা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাবে। তথ্য বলছে, বছরে প্রায় ১০ ভাগ কুকুরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। হয় রোগ ভুগে অথবা পথ দুর্ঘটনায়। গত কয়েক বছরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্মমভাবে পথকুকুরদের মারা হয়েছে। এমন ঘটনা চোখে পড়লে অথবা সন্দেহভাজন কাউকে দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।