স্বাধীনতা দিবসের রাতে কলকাতায় ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পার্কস্ট্রিট ও ধর্মতলার মাঝে মেট্রোর ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ। রাত তখন প্রায় ২টা ১৫ মিনিট। প্রতিদিনের মতোই শেষ ট্রেন ছাড়ার পর লাইন পরীক্ষা করছিলেন মেট্রোর আধিকারিকরা। হঠাৎই সুড়ঙ্গের ভিতর রেললাইনের পাশে নিথর দেহ দেখতে পান তারা। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর যায় নিউ মার্কেট থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আনুমানিক বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এত কঠোর নিরাপত্তা, সর্বত্র সিসিটিভির নজরদারি থাকা সত্ত্বেও ওই যুবক কীভাবে মেট্রোর সুড়ঙ্গে পৌঁছে গেলেন? স্বাধীনতা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে মেট্রো স্টেশনগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার থাকে। তা সত্ত্বেও নজরদারির ফাঁক গলে এই ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ঘটনাটি আরও রহস্যময় করে তুলেছে এই প্রশ্ন। যদি ওই ব্যক্তি রেল বা মেট্রোর কর্মী হতেন, তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষে পরিচয় শনাক্ত করা সহজ হতো। কিন্তু তা যদি না হয়, তাহলে বাইরে থেকে কেউ কীভাবে গভীর রাতে মেট্রোর সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়লেন? যদি আগে থেকেই ঢুকে থাকেন, তাহলে তিনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন এবং কেন তাঁর গতিবিধি ধরা পড়ল না কোনও সিসিটিভি ফুটেজে?
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২৩ সালের নভেম্বরের ঘটনা। রবীন্দ্র সরোবর ও টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝখানে ট্র্যাকের ধারে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তখন তদন্তে উঠে এসেছিল, রক্ষণাবেক্ষণের সময় চুক্তিভিত্তিক এক শ্রমিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পুলিশের তদন্তও চলছে। তবে যতক্ষণ না মৃতের পরিচয় স্পষ্ট হচ্ছে, ততক্ষণ রহস্য কাটছে না।