• সুবলের দেহ ‘লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ, কী জানাল পুলিশ?
    এই সময় | ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক সুবল সোরেনের মৃত্যুতে শুক্রবার দুপুরেই উত্তেজনা ছড়ায় আরএন টেগোর হাসপাতালে। সুবলের দেহ ‘লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালে উপস্থিত সুবলের সহকর্মীদের একাংশ। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলা হয়। পুলিশের দাবি, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার পরেই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ধরনের খবর রটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি পুলিশের।

    কলকাতা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, ‘কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পুলিশ নাকি পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয়নি। মৃতের পরিবারের সদস্যরা সর্বক্ষণই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত ফরম্যালিটি পূরণ করার পর পরিবারের লোকজনের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে।’ এর পরেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভুয়ো তথ্য যাঁরা ছড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।

    শুক্রবার আরএন টেগোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরেরর শিক্ষক সুবল সোরেনের। চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি, এমনই দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। খবর জানার পরেই মুকুন্দপুর আর এন টেগোর হাসপাতালের ৪ নম্বর এক্সিট গেটে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। হঠাৎ করে দেখা যায়, একটা শববাহী গাড়ি সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

    প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে আর একজন চাকরিহারা শিক্ষক এসে জানান, ওই গাড়িতেই দেহ তোলা হয়েছে সুবল সোরেনের। পুলিশ কিছু না জানিয়েই দেহ নিয়ে চলে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। গাড়িটি সামনের একটি ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াতেই তার সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। পরে পুলিশ তাঁদের হঠিয়ে দেয়।

    পরিবারের দাবি, ১১ অগস্ট ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুবল। কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সুবলকে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুবল চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। ডেবরা ব্লকের বৌলাসিনি হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)