• মেদিনীপুরে গ্রীন সিটি মিশন প্রকল্প, রাস্তায় এবার এলইডি লাইট
    বর্তমান | ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • রাজদ্বীপ গোস্বামী, ঝাড়গ্রাম: সামনে দুর্গা পুজো। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে গ্রীন সিটি মিশন প্রকল্পে রাস্তায় এলইডি লাইট লাগানোর কাজ হচ্ছে। এই লাইট লাগানোর জন্য খরচ হচ্ছে দেড় কোটি টাকা। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, বিশেষ করে শহরের সেতুগুলোকে আলোক সজ্জায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। এরফলে বিভিন্ন এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ কমবে। একইসঙ্গে নদী ঘাট, পুকুর পাড় ঢেলে সাজাবে পুরসভা। কারণ, পুরসভার বেশকিছু ওয়ার্ড এলাকা থেকে আলো নিয়ে নানা অভিযোগ আসছিল। এদিন মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, পুরসভা একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করেছে। গোটা শহর সাজানো হবে। আপতত শহরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে মানুষের সমস্যা না হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পুজোর আগে আরও বেশি পরিমাণে আলো লাগানো হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা এলাকার কংসাবতী নদীর ঘাট গুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহরের ১, ২, ৫, ১৭, ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশকিছু ওয়ার্ড এলাকায় আরও বেশকিছু উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভা এলাকার কোনও পার্ক, বা শিশু উদ্যান থাকলে তাও সাজিয়ে তোলার কাজ করবে পুরসভা। তবে আলোর সমস্যার সমাধানে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরে বড় হাই মাস্ট লাইটের সংখ্যা ৬টি। এছাড়াও লো হাই মাস্ট লাইটের সংখ্যা ১৯৬টি। একইসঙ্গে ১৪ হাজার ৩০০টি লাইট পোস্ট রয়েছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরে সৃজন পল্লী, বিবেকানন্দ পল্লী, শরৎপল্লী, বামুন পাড়া, সূর্যনগর, বিদ্যাসাগর পল্লী, নজর গঞ্জ, হরিজন পাড়া, নিবেদিতা পল্লী এলাকায় আলোক বাতির সমস্যা ছিল। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ ছিল ওই সব এলাকার মানুষ।পুরসভা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বাম আমলে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকতো। কোথাও কোথাও ছোট পুরোনো দিনের বাল্বের আলোর উপর ভরসা করতে হতো। ২০১২ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। শহরের গান্ধী ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। তবে পুরসভার তরফে রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিও রয়েছে। বিভিন্ন পার্ক, শিশু উদ্যান, পুকুর পাড় বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। এনিয়ে পুরসভার কোনও মাথা ব্যথা নেই। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন,  পুরসভা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। বহু এলাকা অন্ধকার হয়ে থাকে। এছাড়া শহরকে সাজিয়ে তুললে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পর্যটকও আসবে।
  • Link to this news (বর্তমান)