প্রসেনজিত্ সর্দার ও অয়ন ঘোষাল: সিঙ্গুরে নার্সিংহোমের ভেতরে নার্সের মৃত্যু কান্ড। সেই মৃত্যু কাণ্ডের শুক্রবার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা ছিল শ্রীরামপুরের এক হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্ত না করতে দেওয়ায় মৃতের বাবা-মার অনুমতি ছাড়াই দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুলিস মর্গে। সেখানেও ময়নাতদন্ত করতে আপত্তি মৃতের বাবা-মার। তারা এই ময়নাতনন্ত চাইছে কল্যাণী এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে। সারারাত বডি কলকাতা পুলিস মর্গে থাকার পর শনিবার ভোরে থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কলকাতা পুলিসের পাশাপাশি বেঙ্গল পুলিসের আধিকারিকরাও মর্গে আসেন। কল্যাণী এইমসে সেখানে ময়নাতদন্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি সিঙ্গুর থানার বেশ কয়েকজন আধিকারিক অফিসার তারাও কলকাতা মর্গে আছে। এক চিকিৎসক মর্গের এসেছেন। যেহেতু পরিবারের লোকজন অর্থাৎ মৃতের বাবা-মা চেয়েছিলেন যে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত হোক, সেই কারণেই হুগলি গ্রামীন পুলিসের তরফ থেকে কল্যাণী এইমসে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কল্যানী এআইএমএস হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শুরু হবে আনুমানিক সাড়ে ৯ টায়। এদিন মৃতার ভাই বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ঘটনার তদন্তে আপাতত পুলিসে আস্থা রাখব। যদি দেখি কাজ হচ্ছে না তাহলে সিবিআই তদন্ত চাইব। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। গোটা ময়নাতদন্ত ভিডিয়োগ্রাফি হবে। পুলিসের ভিডিয়োগ্রাফার ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নন্দীগ্রামের দিপালীর। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সেই নিয়ে নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পরশু দিপালীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন নার্সিংহোম মালিক। তারপর বুধবার রাতেই নার্সিংহোমের ৪ তলার ঘর থেকে নার্স দিপালীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।