• ময়নাতদন্তের জন্য সিঙ্গুরের নার্সের দেহ যাচ্ছে কল্যাণী এইমসে
    প্রতিদিন | ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙ্গুরের নার্সের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হল কল্যাণী এইমসে। সকাল ৭টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ নিয়ে বেরয় পুলিশ। সঙ্গে রয়েছে মৃতার পরিবার। গ্রিন করিডর করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। 

    শুক্রবার মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হুগলি থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পরিবার অভিযোগ তোলে জোর করে দেহ কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। আটকে যায় ময়নাতদন্ত। রাতেই যোগাযোগ করা হয় কল্যাণী এইমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো রয়েছে। তাঁরা প্রস্তুত। এরপরই শনিবার সকালে দেহ নিয়ে কল্যাণীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। ১০টা থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত। হচ্ছে ভিডিওগ্রাফিও। 

    বুধবার নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর চারদিন হয়েছে। ময়নাতদন্ত ঘিরে বারবার জটিলতা তৈরি হয়েছে। কলকাতায় মৃতার দেহের দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাধে বিজেপি-সিপিএমের। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় শহরে। অসহায় অবস্থায় বসে থাকতে গিয়েছিল পরিবারকে। 

    বুধবার রাতে সিঙ্গুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের ঘরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি সামনে আসে বৃহস্পতিবার সকালে। পরিবার নার্সিংহোমের মালিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতার প্রেমিক ও  নার্সিংহোমের মালিকে গ্রেপ্তার করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।  ধৃতরা হলেন নার্সিংহোম মালিক সুবীর ঘোড়া। মৃতার প্রেমিক রাধাগোবিন্দ ঘটন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ধৃত রাধাগোবিন্দ ঘটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত নার্সিং পড়ুয়ার। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে না করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই নার্স। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই অনুমান পুলিশের। এদিকে নার্সিংহোমের মালিক যুবতীর সঙ্গে খারপ আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)