আইসার কলকাতার মোহনপুর ক্যাম্পাসে মৃত গবেষক-ছাত্র অনমিত্র রায়ের মোবাইল, ল্যাপটপ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের আশা, ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট মিললে, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরস্পষ্ট হবে।
জীববিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ওই গবেষক-ছাত্র নদিয়ার হরিণঘাটায় আইসার ক্যাম্পাসের কাছে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেটি আগেই তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত ৭ অগস্ট রাতে যে পরীক্ষাগারে অনমিত্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেটিও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ওই দুই জায়গা থেকেই বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন।
৮ অগস্ট সকালে অনমিত্র মারা যান। আগের রাতে সমাজমাধ্যমে তিনি সতীর্থ সৌরভ বিশ্বাস ও গবেষণা সুপারভাইজ়ার অনিন্দিতা ভদ্রের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। ৯ অগস্ট তাঁর পরিবারের তরফে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে হরিণঘাটা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরেনি। বহু চেষ্টা করেও ওই দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের বাসিন্দা অনমিত্রের বাবা অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার তাপসকুমার রায় জানান, ২০১৭ সালে প্রথমে বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন অনমিত্র। ১২ দিন সেখানে ক্লাস করার পরে, আইসারে ভর্তির সুযোগ পেয়ে চলে আসেন। অনমিত্রের মৃত্যু ইস্তক তাঁর মা খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। মাঝেমাঝেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন। তাপসকুমার বলেন, “একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছি। কিছু বলার ভাষা নেই। এই অকালমৃত্যুর বিচার চাই।” পুলিশের দাবি, তদন্ত ঠিকঠাক চলছে।