কথা দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা দিবসে বানভাসিদের নিয়ে নৌকায় উঠে জাতীয় পতাকা তুলবেন। কিন্তু শুক্রবার ঘাটালের পথেঘাটে বন্যার জল ছিল না। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী তাই মনসুকায় পৌঁছলেন শুকনো পথে, দলীয় নেতাদের কনভয় নিয়ে। নদীতে নৌকায় উঠলেও, জাতীয় পতাকাও তোলা হয়নিবিরোধী দলনেতার।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঘাটালে আসার কথা ছিল শুভেন্দুর। তবে তিনি পৌঁছন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ। দেরি হওয়ায় আগেই ঘোড়ুইঘাটে ঝুমি নদীর চরে জাতীয় পতাকা তোলেন বিজেপি কর্মীরা। শুভেন্দু পৌঁছে নৌকায় করে চরে যান। সেখানে নেমে ঘোড়ুইঘাটে শহিদ বেদিতে মালা দেন।
দিন কয়েক আগে ঘাটালে এসে ১৫ অগস্ট জাতীয় পতাকা তুলে বানভাসিদের সঙ্গে দুপুরে খাবেনও বলে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। এ দিন সে মতো সব আয়োজন সারা ছিল। তবে শুভেন্দু না খেয়েই ঘাটাল ছাড়েন। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘‘দাদার আসতে দেরি হয়েছিল একটু। খাওয়াদাওয়া আগেই শুরু করে দেওয়া হয়। রান্নার সব খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে নিজে খাননি।” তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, “বেচারা এত খরচ করল, জাতীয় পতাকাও তুলতে পারল না, খেলও না। এলাকাও শুকনো। নদীতে নৌকায় উঠে ছবি তুলেই পালিয়ে গেল।” এ দিন নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন শুভেন্দু।
এ দিন ঘাটালে বিজেপির পাশাপাশি, তৃণমূলও শুকনো খাদ্যসামগ্রী বিলি করেছে। প্রশাসনের উদ্যোগেও চলেছে ত্রাণ বিলি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দুর খোঁচা, “প্রকল্প হবে কী করে? জমি অধিগ্রহণই হয়নি। দাসপুরে এক ছটাক জমিও দেবে না বলে দিয়েছে।”
আর প্রকল্পে রাজ্য সরকারের টাকা বরাদ্দ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “৫০০ কোটি? ওটা তো ভোটের খরচ।” তৃণমূলের অবশ্য দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উদ্যোগী হয়েছেন, তখন ঘাটালে বন্যা রোধের মাস্টার প্ল্যানবাস্তবায়িত হবেই।