• তালাবন্ধ ঘরে খাটের নিচে স্ত্রীর দেহ! জামুরিয়ায় বছরখানেকের ছেলে কোলে ‘উধাও’ স্বামী
    প্রতিদিন | ১৬ আগস্ট ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বাইরে থেকে তালাবন্ধ ঘর। খাটের তলায় রাখা স্ত্রীর দেহ। এক বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে পলাতক স্বামী। আসানসোলের জামুরিয়া থানার হিজলগড়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্বামীর গা ঢাকা দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে রহস্য দানা বেঁধেছে। ক্রমশ জোরাল হচ্ছে খুনের তত্ত্ব। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কিনা, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। জামুরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

    জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির বাসিন্দা বৈদ্যনাথ পাত্র। কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানায় এলাকার নন্দকুমারপুরের বাসিন্দা বছর বাইশের রেণুকা দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়েও করে তারা। বছরখানেকের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁদের। প্রায় ২ বছর ধরে জামুড়িয়ার স্যামসেল কারখানায় কাজ করেন বৈদ্যনাথ। হিজলগড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।

    শুক্রবার বৈদ্যনাথ তার বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে দেন। তারপর ঘরের দরজায় তালা দিয়ে সাইকেলে চড়ে বেরিয়ে যান। সঙ্গে ছিল এক বছরের ছেলে। স্ত্রীকে না দেখে সন্দেহ হয়। বাড়ি মালিকের খটকা লাগে। বিকেলে জামুরিয়া থানার কেন্দা ফাঁড়িতে গিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়ে আসেন বাড়িমালিক। কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ধাক্কা দেয়। তবে কেউ দরজা খোলেননি। বাধ্য হয়ে তালা ভাঙা হয়। খাটের নিচে নজর যেতে চমকে ওঠে পুলিশ। দেখা যায়, চাদর ঢাকা অবস্থায় বৈদ্যনাথ পাত্রের স্ত্রী রেণুকা পড়ে রয়েছেন। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত রেণুকার। তাই প্রাথমিকভাবে তাঁদের অনুমান, ওই মহিলাকে খুনের পর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বৈদ্যনাথ। এই ঘটনার নেপথ্য কারণের খোঁজে তদন্তকারীরা। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)