• SIR-এর আতঙ্কে মালদহে বার্থ সার্টিফিকেট নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে, নজরে ২ পঞ্চায়েত
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ আগস্ট ২০২৫
  • রণজয় সিংহ: মালদহ জেলা জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জন্মের শংসাপত্রের সংখ্যা একলাফে বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন রিপোর্টে উদ্বেগ সরকারি কর্তাদের। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে ২০২৩ সালে জেলা পঞ্চায়েত দফতর থেকে মোট ৪৪২২৯টি জন্মের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে হয় ৫৫৯২১টি ৷ ২০২৫ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সংখ্যাটা ২৩,০২৬টি ৷ ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সালে পঞ্চায়েতের অনুমোদিত জন্মের শংসাপত্র বেড়েছে ১১,৬৯২টি।

    বিষয়টি নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি ৷ প্রশাসনিক কর্তাদের নজরে সন্দেহজনক হয়ে উঠেছে ইংরেজবাজারের যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। মালদহ শহর সংলগ্ন এই পঞ্চায়েতে ২০২২ সালে মোট শংসাপত্র অনুমোদিত হয়েছিল ২৫ হাজার ৬০২টি৷ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এখানে প্রতি মাসে গড়ে ৭১১টি জন্মের শংসাপত্র অনুমোদিত হয়েছে৷ কিন্তু ২০২৫ সালের মার্চ মাসেই এই পঞ্চায়েতে অনুমোদিত হয়েছে ৮০৩টি শংসাপত্র৷ ৷

    আরও বড় ছবি মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ এখানে ২০২২ সালে ৫৩৬টি ও ২০২৩ সালে অনুমোদন করা হয়েছিল ৫৩৮টি শংসাপত্র৷ অথচ ২০২৪ সালে এখানে অনুমোদিত হয়েছে ৪৫৪৭টি৷ চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত অনুমোদিত হয়েছে ৩২৪০টি শংসাপত্র৷ এই পঞ্চায়েতে গত তিন বছরে শংসাপত্র প্রদানের গড় মাসে ১৮৫টি৷ চলতি বছরের মার্চ মাসে ৭২৭টি শংসাপত্র অনুমোদিত হয়েছে।

    তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা চৌধুরীর বক্তব্য, “আসলে এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে একটা ভয় কাজ করছে৷ তাই আগে যাঁরা জন্মের শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশন করাননি, এখন পঞ্চায়েত দপ্তরে তাঁদের ভিড় বাড়ছে৷ এই কারণেই শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা এভাবে বেড়ে গিয়েছে৷ এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই৷”

    বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নামতে দেরি করতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির৷ বিজেপির মালদা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য৷

    মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানান বিষয়টি সামনে আসতেই ইতিমধ্যেই প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আর বিজেপি বলছে অনুপ্রবেশের কথা। সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ। তাহলে তারাই বাংলায় লোক ঢোকাচ্ছে।যে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তার তদন্ত শুরু করেছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুমোদিত জম্মের শংসাপত্রের সংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)