চম্পক দত্ত: সরকার ঘোষিত ছুটি, কিন্তু সেই ছুটির দিনেও স্কুল খোলা রেখে পরীক্ষা করতে হচ্ছে স্কুলে। এমনকি ররিবারও চলবে পরীক্ষা। আর এই সমস্ত কিছুর জন্যই দায়ী ঘাটালের বন্যা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই তড়িঘড়ি স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগে সহমত অভিভাবকরাও। এমনই চিত্র দেখা গেল পশ্চিম মেদনীপুর জেলার ঘাটালের যোগদা সৎসঙ্গ শ্রীযুক্তেশ্বর বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৫৬ দিন ধরে জলমগ্ন ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর যার কারণেই বন্ধ রাখতে হয়েছিল স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। ফলে পঠন পাঠন পুরোপুরি ছিল বন্ধ। দীর্ঘদিন পর বন্যার জল কিছুটা কমতেই ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ছুটির দিনেও স্কুলে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। অভিভাবকরাও সহমত স্কুলের এই সিদ্ধান্তে। তাদের কথায়, বন্যা পরিস্থিতির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা প্রায় লাটে উঠেছিল দ্রুত পরীক্ষার বন্দোবস্ত না করলে সমস্যা আরও দেখা দিতে পারে কারণ চলতি বছরে আরও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই ছুটির দিনে পরীক্ষার ব্যাপারটা তারাও মন থেকে মেনে নিচ্ছেন। স্কুলের তরফে প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের হয়তো কিছুটা মন খারাপ হতে পারে কিন্তু আমরা নিরুপায়। বন্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল ছিল জলের তলায়। ফলে পরীক্ষা নেওয়া তো দূরের কথা পঠন পাঠন শুরু পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। কয়েকদিন বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আমরা ছুটির দিনগুলোকেই কাজে লাগিয়ে নিতে চাইছি।
যাতে ছাত্রছাত্রীরা অন্যান্য দিক থেকে পিছিয়ে না পড়ে। আজ জন্মাষ্টমী সরকারি ছুটি, আগামীকাল রবিবার এমনিতেই ছুটির দিন। তাতে কি হয়েছে, এতদিন বন্যার কারণে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের কিছুটা হলেও কাজে আসবে স্কুলের এই উদ্যোগ। কেননা আবহাওয়ার উপর আর ভরসা নেই বিশেষ করে ঘাটালবাসীর। ফের যদি বন্যা হয়। ঘাটাল পুর এলাকা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচু এলাকায় এখনও হাঁটু সমান জল রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। এখনও অনেক এলাকার পড়ুয়া ও অভিভাকরা জল পেরিয়েই স্কুলে পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছে। সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হোক পরীক্ষা চাইছেন সকলে।