মদ্যপদের হাতে নিগৃহীত মুচিপাড়া থানার ২ পুলিসকর্মী, গ্রেপ্তার দুই
বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেহালার পর এবার মুচিপাড়া। কোলে মার্কেটের কাছে একদল মদ্যপের হাতে প্রহৃত হলেন মুচিপাড়া থানার দুই পুলিসকর্মী। স্বাধীনতা দিবসের রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল, রাজা শা এবং রাকেশ সাউ। তবে এই ঘটনায় অন্তত ৪ জন পলাতক। কলকাতা পুলিস সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় ১৫৬ নম্বর বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে অবস্থিত বহুতলের ছাদে বসে মদ্যপান করছিলেন ছ’-সাতজনের একটি দল। অভিযোগ, রাত বাড়তেই শুরু হয় মাতলামি। অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যায় স্থানীয় মুচিপাড়া থানায়। খবর পেয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে আসেন মুচিপাড়া থানার এএসআই মহম্মদ ডালিম শেখ এবং কনস্টেবল শেখ আজহারদ্দিন।
অভিযোগ, তখনই মদ্যপরা চড়াও হয় পুলিসের ওপর। বিনা প্ররোচনায় পুলিসকর্মীদের ক্রমাগত কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে মুচিপাড়া থানা থেকে বাড়তি বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেও, বাকিরা পালিয়ে যায়। পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বিনা হেলমেটে এক বাইক চালককে জরিমানা করাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে বেহালা থানার জেমস লঙ সরণি এবং রায় বাহাদুর রোডের সংযোগস্থলে নিগৃহীত হয়েছিলেন সার্জেন্ট ও কনস্টেবল।
পরে এই ঘটনায় নিগৃহীত এএসআই মহম্মদ ডালিম শেখ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে মুচিপাড়া থানার পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে কর্তৃব্যরত পুলিসকর্মীদের মারধর, সরকারি কাজে বাধাদান সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, শনিবার দুপুরে ধৃত রাজা শা এবং রাকেশ সাউকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম হিমাদ্রিকুমার নাথের এজলাসে হাজির করা হয়। বিচারক ধৃতদের ২০ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী।