নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অনুপ্রবেশ নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা অব্যাহত। এই আবর্তে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিএসএফ। রাজ্য সরকারের হস্তান্তর করা কমবেশি ১৫ বিঘা উন্মুক্ত জমিতে বসানো হচ্ছে ফেন্সিং। এর ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রায় ৩১৮ একর জমিতে ফেন্সিং করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, এই জায়গা দীর্ঘদিন উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে এইসব এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালাতে হয় বিএসএফকে। এই ৩১৮ একর জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয় কয়েকমাস আগেই। সেই মতো সীমান্ত লাগোয়া ব্লকগুলির বিডিও’রা প্রস্তুতি শুরু করেন। ইতিমধ্যেই ২০০ একর জমি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় নথি তৈরি। এরমধ্যে ১৩৮ একর অর্থাৎ প্রায় ৪১৭ বিঘা জমি কিনেও নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই জমি বিএসএফকে হস্তান্তরের পর তারা ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের ঘোজাডাঙা দক্ষিণপাড়ায় শুরু হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁটাতারের উচ্চতা ২০ ফুট। আর ফেন্সিং লাগোয়া এলাকায় ২০ ফুট চওড়া রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে সহজেই বিএসএফের জওয়ানরা সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কাঁটাতারের পাশেই বসানো হবে উন্নতমানের আলো ও বিশেষ সেন্সার। স্থানীয় বাসিন্দা রবীন দাস ও শ্যামল দাস বলেন, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ও পাচারকারীরা বিএসএফের নজর এড়িয়ে এই এলাকা দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়ে। তারা গৃহস্থের বাড়ি থেকে ছাগল, গোরু সহ বিভিন্ন জিনিস লুট করে আবার পালিয়ে যায়। ফলে আমাদের খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ হয়ে গেলে তারা আর সহজে এদেশে ঢুকতে পারবে না। আমরা স্বস্তি পাব। নিজস্ব চিত্র