• অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে গিয়ে ‘টেন্টেড’রা দেখলেন আবেদনপত্র বাতিল
    এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: আদালতের রায় মেনে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর আবেদন খারিজ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই প্রার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখতে পান, ২০১৬ সালের প্রথম এসএলএসটি পরীক্ষায় ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তাঁদের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ লক্ষ ৮০ হাজার প্রার্থীর ‘প্রভিশনাল’ অ্যাডমিট কার্ড অবশ্য আপলোড করেছে এসএসসি।

    ২০১৬ সালে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁদের মধ্যে ১৭ হাজার ২০৬ জন শিক্ষক–শিক্ষিকা। এদের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনে সুপ্রিম কোর্ট ১৫ হাজার ৪০৩ জন ‘যোগ্য’কে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে কাজ চালানোর অনুমতি দিয়েছিল।

    বাকি ১,৮০০ জনের মধ্যে যাঁরা শূন্য পেয়েছিলেন, র‍্যাঙ্ক জাম্প এবং প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণের পরে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, আপাতত তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড খারিজের পথে হেঁটেছে এসএসসি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ গত বছর ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে জানায়, চাল থেকে কাঁকর আলাদা করতে না পারায় পুরো প্যানেল খারিজ করা হয়েছে। যদিও এসএসসি–র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এ ব্যাপারে শনিবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    এসএসসি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় এসএলএসটি–র (স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট) প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড ১৪ অগস্ট রাতে আপলোডের নোটিস প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, যাঁদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা ওয়েবসাইটে বাতিলের কারণ জানতে পারবেন। ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় ‘অযোগ্য’ বলেই একাধিক প্রার্থীর আবেদন খারিজ হয়েছে। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অ্যাডমিট কার্ডের ক্ষেত্রে এই নোটিস বেনজির।

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে মামলাকারী প্রার্থীদের একাংশ বলছেন, কমিশন এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছে। আদালতে কমিশন ও রাজ্য সরকার এতদিন দাবি করে এসেছে, পরীক্ষার পর ও ইন্টারভিউ এবং প্যানেল প্রকাশের আগে সফল প্রার্থীদের ফিজি়ক্যাল ভেরিফিকেশন ছাড়া সমস্ত ‘অযোগ্য’দের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। ফলে প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড আপলোডে কয়েকশো প্রার্থীর আবেদন খারিজ করে এসএসসি নতুন করে মামলার রাস্তা বন্ধ করতে চেয়েছে। কারণ, মামলা হলে তারা বলবে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের অ্যাডমিট কার্ডই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এখনও টেন্টেডদের ধরার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। সে জন্য অ্যাডমিট কার্ডের নোটিসে এসএসসি উল্লেখ করেছে, কমিশনের আইন, বিধি এবং আদালতের রায় মেনে শারীরিক অথবা অনলাইন ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এবং পরবর্তী পর্যায়ে কাউন্সেলিং পর্যন্ত যোগ্যতা যাচাই চলবে।

  • Link to this news (এই সময়)