স্টাফ রিপোর্টার: স্টেশন ভেঙে নতুন করে গড়ার জন্য কবি সুভাষ মেট্রো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এবার আরও ভয়াবহ চিত্র সামনে এল সমীক্ষক সংস্থা রাইটসের রিপোর্টে। যেখানে বলা হয়েছে, মাটির নিচে সুড়ঙ্গ থেকে একাধিক প্ল্যাটফর্মের আমূল সংস্কার প্রয়োজন। আর তা করতে হলে মাঝে মধ্যেই বন্ধ রাখতে হতে পারে ব্লু লাইনের বিভিন্ন অংশের মেট্রো। পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ায় স্টেশনগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে রাইটসের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়তেই তড়িঘড়ি টেন্ডার ডেকেছে মেট্রো ভবন। যেখানে সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম, মেট্রো ট্র্যাক বা রেললাইন, এসি ভালভ-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। মোট খরচ ধরা হয়েছে ৮৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫০ টাকা। সময়সীমা ন’মাস। এই সময়সীমার মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হবে বলে মেট্রোর তরফে টেন্ডারে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যখন নতুন মেট্রোপথ উদ্বোধনের অপেক্ষায় তখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো মেট্রোপথের ভয়াবহ চিত্র সামনে আসছে।
সম্প্রতি পিলারে ফাটল ধরায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। তারপরই অন্য স্টেশনগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। বর্তমানে মাটির তলার স্টেশনগুলির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ জেনারেল ম্যানেজার। মেট্রো সূত্রে খবর, রাইটসের তরফে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, সেখানে তিনটি বিষয়কে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক, মেট্রোর লাইন বা ট্র্যাক, দ্বিতীয়টি হল ডি-ওয়ালসহ মাটির নিচে সুড়ঙ্গের বর্তমান অবস্থা, আর তৃতীয়টি হল প্ল্যাটফর্ম এবং পিলার। মেট্রো সূত্রে খবর, মাটির তলায় মেট্রোর লাইন দিয়ে এক একটি রেক ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চালানো যায়, কিন্তু ভিতরের অবস্থা খুব একটা অনুকূল না হওয়ায় রেকের গতি ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি ওঠানো হয় না। রাইটস যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে মেট্রো ট্র্যাক ছাড়াও শহরের মাটির তলায় থাকা কোন কোন স্টেশনের অবস্থা চিন্তা বাড়িয়েছে, সেটাও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে।