ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ছটি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। প্রতিবেদন লেখার সময় জানা গিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে। সূত্রের খবর, এই কারখানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উৎকর্ষ বাংলার (PBSD) -এর উদ্যোগে বিনামূল্যে রিমেড পোশাক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কী থেকে, কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি।
কারখানার এক কর্মী ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'ভোরে উঠেছিলাম তখন দেখি কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার গার্ড-সহ অন্যান্যদের জানাই। মালিককে ফোন করি। তারপরে আমরা দমকলে খবর দিই। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।'
দমকলের আধিকারিক রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, এখনও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে। দমকলের ছ' টা গাড়িতে কাজ চলছে। পরিস্থিতি বিচারে দুটো এক্সট্রা পাম্প বসানো হয়েছে। পাশের গোডাউন থেকে জল নিয়েও আগুন নেভানো হচ্ছে। ওই কারখানায় মূলত গেঞ্জি তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে, জুন মাসে খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ক্রমেই আগুন গ্রাস করে গোটা বাজার। বাজারের মধ্যে একটি তেলের গুদাম রয়েছে। সেই গুদামেও আগুন লাগে। দ্রুত দমকলে খবর দেওয়া হয়। রাতেই দমকলের কমপক্ষে ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই খানিকক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ঠিক তার পরের দিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।