• অন্ধ্রপ্রদেশে মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ আগস্ট ২০২৫
  • ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন। অন্ধ্রপ্রদেশে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের এক শ্রমিকের। রেললাইনের ধারে পড়ে ছিল তাঁর দেহ। মৃত শ্রমিকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ঘিরে খুনের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। সন্দেহের তির স্থানীয় এক ঠিকাদারের দিকে।

    মৃত শ্রমিকের নাম কাদির শেখ। বয়স ৩২ বছর। তিনি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের ইমামনগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। কাদির প্রায় আট-নয় বছর ধরে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি রাজমিস্ত্রির কাজে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন। তিন বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট ঠিকাদারের অধীনে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। অভিযোগ, ঠিকাদারের কাছে কাদিরের প্রায় এক লক্ষ টাকা পাওনা ছিল।

    পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা নিয়ে মতবিরোধের জেরে কাদিরকে পিটিয়ে খুন করে রেললাইনের ধারে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার এক দিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। শনিবার রাতে কাদিরের পরিবারের কাছে খবর আসে, রেললাইনের ধারে তাঁর মৃতদেহ পড়ে আছে। শরীরে একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    মৃতের ভাইপো বলেন, ‘আমার কাকাকে পিটিয়ে খুন করেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাই।’ এক সময় কাদিরের সঙ্গেই কাজ করা এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেও ওই ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করেছি। কাদির ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা পেত। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’

    এই মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কাদিরের দেহ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার। তারা চায়, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঘিরে একের পর এক ঘটনার মধ্যেই কাদিরের এই মৃত্যু নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ সহ গোটা রাজ্যে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)