সুমন করাতি, হুগলি: চুরি যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর ‘পদ্মশ্রী’ পদক উদ্ধার করে নিজেদের দক্ষতা আবারও প্রমাণ করেছে রাজ্য পুলিশ। পদক এবং খোয়া যাওয়া নানা জিনিস ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্য ধন্য করছেন বুলা চৌধুরী নিজেও। তিনি জানিয়েছেন, ”পুলিশ যেভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করেছে, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি।’’ তবে এর মাঝেও কাঁটা রয়ে গিয়েছে। সাঁতারুর দাবি, কিছু মেডেল এখনও উদ্ধার হয়নি। তার মধ্যে রয়েছে পদ্মশ্রী সম্মানের সঙ্গে প্রাপ্ত একটি ব্যাজ। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে।
গত শুক্রবার ভোরে চুরির ঘটনা নজরে আসে। সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে ‘পদ্মশ্রী’ পদক চুরি যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। শনিবার তদন্তে নামে সিআইডি। আগেই পুলিশ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরির তথ্য মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবার সকালে ‘চোর’কে নিয়ে উত্তরপাড়া থানা থেকে শ্রীরামপুর ডিসিপি অফিসে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় কলকাতায় থাকা বুলা চৌধুরীকে।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত ১৫ আগস্ট সকালে বুলা চৌধুরীর দেবাইপুকুরের বাড়িতে চুরি হয়। সব মেডেল চুরি হয়ে যায়। আমরা কেস রুজু করি। সকলেই উদ্বেগে ছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। সিআইডির সাহায্য নিয়েছিলাম। ২৯৫টি মেডেল উদ্ধার হয়েছে।’’ ডিসিপি আরও জানান, চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ছিলেন বুলা চৌধুরী। তবে তাঁরা কথা দিয়েছিলেন, শীঘ্রই চোরকে ধরবেন। উদ্ধার করা হবে সমস্ত পদক। ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাসের কথায়, ‘‘চোর রিষড়ার বাসিন্দা। তার নাম কৃষ্ণ চৌধুরী। তার সঙ্গে এই চুরির ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ‘সোর্স’ কাজে লাগিয়ে পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ পায়। তারপর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’’
মেডেল উদ্ধারের খবর জানানো হয় বুলা চৌধুরীকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত খুশি। তবে কিছু মেডেল এখনও উদ্ধার হয়নি।” ‘পদ্মশ্রী’ পদক কি ফিরে পেলেন? এই প্রশ্নের জবাবে বুলা চৌধুরী বলেন, ‘‘পদ্মশ্রী সম্মানের সঙ্গে দুটি ব্যাজ দেওয়া হয়। যে ব্যাজটি রাষ্ট্রপতি আমাকে পরিয়ে দিয়েছিলেন, তা আমার কলকাতার বাড়িতে রয়েছে। কিন্তু অন্য ব্যাজটি আমি খুঁজে পাইনি। আমি বাড়িতেও একবার ভালো করে খুঁজে দেখব। তবে পুলিশ আমাকে বলেছে আমার এখনও অনেকগুলি মেডেল উদ্ধার বাকি রয়েছে। সেগুলো তাঁরা খুঁজে দেবেন। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।’’