হিন্দু উৎসবের দিন মিছিল ঘিরে বিতর্ক, শুভেন্দুকে তৃণমূলের কটাক্ষ ‘ভেজাল হিন্দু’
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৫
একটার পর একটা হিন্দু উৎসবের দিনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হচ্ছে তীব্র বিতর্ক। রাখী পূর্ণিমার দিন ‘নবান্ন অভিযান’-এর পর জন্মাষ্টমীর দিন ফের রাস্তায় মিছিল ডাকেন শুভেন্দু। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ইচ্ছে করেই হিন্দু ধর্মীয় দিনগুলোকে রাজনীতির মঞ্চে টেনে এনে জনজীবন ব্যাহত করছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুকে ‘ভেজাল হিন্দু’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
শুভেন্দুর সাম্প্রতিক কর্মসূচির তালিকায় দেখা যাচ্ছে, প্রথমে রাখী বন্ধনের দিন অভয়া ইস্যুতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেন তিনি। সেই কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না। সুকান্ত মজুমদার থেকে শমীক ভট্টাচার্য অনেকে সেদিন রাখী উৎসবেই ব্যস্ত থাকেন। দলীয় অন্দরে তাই শুভেন্দুর কর্মসূচি নিয়েই শুরু হয় চাপা অসন্তোষ। এরপর জন্মাষ্টমীর দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর স্মৃতিচারণে মিছিল বের করেন শুভেন্দু। আদালতের অনুমতি অনুযায়ী সাড়ে সাতশো মানুষ নিয়ে ওই মিছিলে শামিল হন তিনি। শোভাযাত্রায় ওঠে ‘জয় শ্রীরাম’-এর স্লোগান। কলেজ স্ট্রিট থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিলের পর আলিপুরে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির উদ্বোধনও করেন বিরোধী দলনেতা। মিছিলে অংশ নেন সাধু-সন্তরাও। তবে এখানেও দেখা যায়নি শমীক ভট্টাচার্য বা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতো প্রথম সারির নেতাদের।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাখী পূর্ণিমার দিন নবান্ন অভিযান, জন্মাষ্টমীর দিন রাস্তা আটকে মিছিল এরা ভেজাল হিন্দু, তৎকাল বিজেপি। তাঁর দাবি, বিজেপি হিন্দু ধর্মের আবেগকে রাজনৈতিক মুনাফার জন্য ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, উৎসবের দিন বিক্ষোভ বা মিছিলের ডাক দিয়ে শুভেন্দু আসলে দুই দিকেই চাপে পড়েছেন। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, ধর্মীয় উৎসবকে কেন রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির অভ্যন্তরেও এই কৌশল নিয়ে মতভেদ বাড়ছে। শুভেন্দু অবশ্য নিজের অবস্থানে অটল। তাঁর দাবি, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর ইতিহাস ২০২৫ সালে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সেই ইতিহাস স্মরণ করানোই তাঁর উদ্দেশ্য।