নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে পরিদর্শন মেট্রোয়
আনন্দবাজার | ১৭ আগস্ট ২০২৫
পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছ থেকে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার বিষয়ে আবশ্যক ছাড়পত্র নেওয়া বাকি ছিল নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের একাংশের জন্য। শনিবার ওই মেট্রোপথের দমদম ক্যান্টনমেন্ট-বিমানবন্দর অংশের বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এবং কলকাতা মেট্রো রেলের ভারপ্রাপ্ত সেফটি কমিশনার সুমিত সিংহল। ওই মেট্রোর নোয়াপাড়া-ক্যান্টনমেন্ট অংশে পরিষেবা শুরু করার ছাড়পত্র আগেই মিলেছে।
এ দিন ওই লাইনে ট্রলি ছুটিয়ে পরীক্ষা করা ছাড়াও চিনের সংস্থা ডালিয়ানের তৈরি রেক বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত চালানো হয়। ফের ওই রেক ফিরে আসে। এ ছাড়াও আপৎকালীন বিভিন্ন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন মেট্রো রেলের সেফটি কমিশনার।প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোপথে রেডিয়ো তরঙ্গ-নির্ভর উন্নত সিগন্যাল ব্যবস্থার সাহায্যে ট্রেন চালানো হবে।
এত দিন কলকাতা মেট্রোর অন্যান্য পথে জার্মানি, ইতালি, জাপানের মতো বিভিন্ন দেশে তৈরি সিগন্যাল ব্যবস্থা ব্যবহার করা হলেও এই প্রথম নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর পথে ভারতীয় সংস্থার তৈরি সিগন্যাল ব্যবস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি জানান, হায়দরাবাদের মেধা সংস্থার তৈরি ওই সিগন্যাল ব্যবস্থা দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানের। শুধু তা-ই নয়, দেশীয় এই সিগন্যাল বসাতে খরচও হয়েছে তুলনায় অনেক কম। বিদেশি সংস্থার ক্ষেত্রে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা খরচ হয়, সেখানে ওই পথে দেশীয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বসাতে গড়ে দু’কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ পড়েছে বলে জানান তিনি।
জেনারেল ম্যানেজার জানান, আগামী ২২ অগস্ট নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর ছাড়াও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড-শিয়ালদহ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর রুবি থেকে বেলেঘাটা স্টেশন পর্যন্ত অংশে পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি মাসেই কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার কথা তাঁর। তাই পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাওয়া মেট্রোপথগুলিতে যাত্রী পরিষেবা শুরু করে দিতে খুবই তৎপর তিনি।
শুক্রবার পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘‘চিংড়িঘাটায় রাজ্যের সহযোগিতা পেলে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো পরিষেবা আরও ১৩ কিলোমিটার এগিয়ে নব দিগন্ত স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা যেত।’’