বেআইনি ভাবে জমি দখলের অভিযোগ, অসম সরকার উচ্ছেদ করল ৩০০-র বেশি পরিবারকে, বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম
আনন্দবাজার | ১৭ আগস্ট ২০২৫
৩০০-র বেশি পরিবারকে জমি থেকে উচ্ছেদ করল অসম সরকার। তাঁরা বেআইনি ভাবে জমি দখল করে বাস করছিলেন বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম।
অসমের বিশ্বনাথ জেলায় রবিবার থেকে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে শুরু করে অসম সরকার। সেখানে প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি বেআইনি ভাবে দখল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। জেলাশাসক সীমান্তকুমার দাস জানান, ৩০৯টি পরিবার ওই ১৭৫ বিঘা জমি দখল করে রেখেছিলেন। গত ১ অগস্ট তাদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য। রবিবার শান্তিপূর্ণ ভাবেই গোটা প্রক্রিয়া চলেছে বলে দাবি জেলাশাসকের।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, নোটিস পাওয়ার পরে সব পরিবারই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকে নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছিল। বাকি বাড়িগুলি রবিবার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য ৬০০ জন নিরাপত্তাকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়। ২০টি বুলডোজ়ার এবং বেশ কিছু ট্র্যাক্টরও ব্যবহার করা হয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জমি দখল করে যাঁরা ওই এলাকায় বাস করছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর। রবিবার বিশ্বনাথ জেলার ওই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্ট্স ইউনিয়ন (এএএমএসইউ)-এর সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলি সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে এক হাত নেন তিনি। সাধারণ মানুষকে অমানবিক ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। কুদ্দুসের দাবি, যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
সম্প্রতি, বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। কখনও কখনও ওই রাজ্যগুলিতে বাংলাদেশি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে অসম সরকারেরও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মাসে অভিযোগ তোলেন, বাংলাদেশি সন্দেহে কিছু ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে রাজ্যে চিঠি পাঠিয়েছে অসম সরকার।