বিধান সরকার: হুগলির সিঙ্গুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্স দীপালি জানার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। প্রেমিক রাধাগোবিন্দ ঘটককে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেয় পুলিস। তাঁকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানিয়েছে, ঘটনার দুদিন আগে অর্থাৎ ১০ আগস্ট তারা ডানকুনির একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অতীতেও একাধিকবার একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ও হোটেলে থাকার ঘটনা ঘটে।
এতদিন এভাবেই চলছিল। সম্প্রতি দীপালি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে নানা অছিলায় রাধাগোবিন্দ প্রস্তাব এড়িয়ে যায়। তা থেকেই মানসিক অবসাদে দীপালি গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পুলিসের।
এদিকে, পুলিসের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব মৃতার পরিবার। দীপালির বাবার অভিযোগ , “পুলিস পুরো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদি মেয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঘটনা সত্যি হত তবে তার মৃতদেহ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হত না।”
দীপালীর মা-ও জানান, “রাধাগোবিন্দ যা বলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার মেয়ের এধরনের কোনো সম্পর্ক ছিল না।” ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।