২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'অগণতান্ত্রিক কিছু করলে,বাংলার মানুষ মেনে নেবে না'। SIR বিতর্কে ফের তৃণমূলের নিশানায় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, 'গণতন্ত্র যেটা বলবে, সেটা হবে'।
SIR বিতর্কে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। বিক্ষোভের আঁচ যখন পৌঁছে গিয়েছে সংসদেও, তখন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের পাল্টা অভিযোগ, 'নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি করা হচ্ছে'। সঙ্গে স্পষ্ট বার্তা. 'কমিশন কোনও ভেদাভেদ না করে নির্ভয় হয়ে ধনী-দরিদ্র, প্রবীণ, মহিলা, যুবা, প্রত্যেক শ্রেণি, প্রত্যেক ধর্মের ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে'।
চন্দ্রিমা বলেন, 'আমরা ইতিমধ্য়েই বলেছি। আমাদের নেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনিও বলেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আমাদের সাংসদরা যে ভূমিকা পালন করেছে, সেটাতেই নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশন বুঝতে পেরেছে যে, বাংলা কী করতে পারে'।
বিজেপির রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমি নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্রও নই, প্রতিনিধিও নই। কেন্দ্রে যে সরকারটা চলেছে, সেই সরকারটা ভারত সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস অ্যাজেন্ট খুব পরিষ্কার, বাংলাদেশি, জেহাদি, রোহিঙ্গা, মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটারের নাম ভোটার লিস্টে রাখবে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সহায়তা,মধ্যস্থতায় এবং তাদের নেতৃত্বে ত্রুটি মুক্তি ভোটার লিস্ট উপহার দেব। এর বাইরে কোনও কিছু নেই'।