• ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে পারে বিজেপি, বিএলএদের সচেতন থাকতে নির্দেশ তৃণমূলের
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: বাংলায় এসআইআর নিয়ে জল্পনার মাঝেই নড়েচড়ে বসল রাজ্যর শাসকদল। রবিবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের সন্মতিনগরে কালীতলা এলকে হাইস্কুলে দলের বিএলএ ২ ও পিইআরএস কর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হয়। এদিনের কর্মশালায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান, লালগোলার বিধায়ক তথা জেলা বিএলএ প্রধান মহম্মদ আলি সহ দলীয় নেতৃত্বরা। ব্লকের সমস্ত বিএলএদের এবিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাংলার একটি ভোটারও যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সেবিষয়ে কর্মীদের অবহিত করা হয়। বিজেপি নিবিড় সংশোধনের নামে কারচুপি করতে পারে বলেও অনুমান করছে তৃণমূল। এ বিষয়ে কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে কড়াভাবে নির্দেশ দেয় দলীয় নেতৃত্ব।

    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন বিজেপির মূল উদ্দেশ্য নয়। নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ক্ষমতায় আসাই মূল লক্ষ্য বিজেপির। তাদের সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। আমরা আগে থেকেই সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

    খলিলুর রহমান বলেন, রঘুনাথগঞ্জে সূচনা হলেও জেলার সর্বত্র এই কর্মশালা হবে। আমরা কর্মীদের প্রশিক্ষিত করছি, যাতে সাধারণ মানুষকে তারা সাহায্য করতে পারে। তবে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

    ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যে বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই পদক্ষেপকে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের শুরু হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এটি রুটিন কাজ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি ভোটের আগে বিএলও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে ভোট সংক্রান্ত কাজ না করানোর নিয়ম হয়েছে। তাই নতুন করে বহু বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া আরও বেশি জরুরি। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির উত্তাপও বাড়ছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশঙ্কা, বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ‘বিশেষ অভিযান’ চালিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। তাই শাসক দল তাদের সংগঠনের বিএলএ ২ ও পিইআরএস কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লকের ২৬৯জন বিএলও ২ কর্মীদের নিয়ে কর্মশালা করে। প্রশিক্ষিত বিএলএ কর্মীরা এলাকার বিএলওদের কাজের উপর নজর চালাবে। বিএলওরা কখন কোথায় কীভাবে কাজ করছেন তা নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাজে বিএলএদের সাহায্য করবেন অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)