• মেলেনি কংক্রিটের ব্রিজ, এলাকাবাসীর চাঁদায় তৈরি বাঁশের সেতু জলের তলায়
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রশাসনের কাছে বহুবার দাবি জানিয়েও মেলেনি একটি কংক্রিটের সেতু। বাধ্য হয়ে ইছামতীর দু’পারের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলে তৈরি করেছিলেন বাঁশের সেতু। কিন্তু নদীতে জল বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই সেতুও এখন জলের তলায়। বাধ্য হয়ে সেই বিপজ্জনক সেতু দিয়েই চলাচল করছেন বাসিন্দারা।

    বাগদার বালিরমাঠ, দেয়ারা, বিজয়নগর, সন্তোষা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দাদের যে কোনও প্রয়োজনে যেতে হয় নদীর ওপারে চরমণ্ডল কিংবা নলডুগাড়ি। নদী পেরলেই মেলে বাজার, স্কুল, বাগদা গ্রামীণ হাসপাতাল, বিডিও অফিস। কিন্তু নদীতে নেই সেতু। ফলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হতো। এক সময় নৌকায় খেয়া পারাপার করেও যাতায়াত করতেন বাসিন্দারা। যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রায় ২০ বছর আগে ইছামতী নদীতে বাঁশের সেতু তৈরি করেন গ্রামের বাসিন্দারা।

    বাগদা ব্লকের মালিপোতা পঞ্চায়েতের বালিরমাঠ ও সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের চরমণ্ডল-এর সংযোগস্থলে তৈরি হয় বাঁশের সেতুটি। জানা গিয়েছে, গ্রামের বাসিন্দারা তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইছামতীর উপর প্রায় ১২০ ফুট লম্বা বাঁশের এই সেতুটি তৈরি করেন। যদিও এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। মাটি পরীক্ষা হলেও আজও স্থায়ী সেতু তৈরি হয়নি।

    বালিরমাঠের বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, আমাদের যে কোনও কাজ করতে ওপারে যেতে হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে বহুবার সেতুর আবেদন করেও পাইনি। তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে সেতু তৈরি করেছি। সেতুর দেখভাল গ্রামবাসীদেরই করতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের থেকে মেলে না কোনও সাহায্য।

    যদিও এবিষয়ে মালিপোতা পঞ্চায়েতের প্রধান দেবব্রত মণ্ডল বলেন, ছোটখাট সমস্যা হলে ব্রিজ কমিটিই সেতু মেরামত করে নেয়। বড়সড় কিছু হলে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হয়। বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ ঘোষ বলেন, ওখানে একটি কংক্রিটের সেতু বরাদ্দ হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়াররা এলাকা পরিদর্শনও করেন। কিন্তু নদীর দু’পাশে কেউ জমি দিতে রাজি না হওয়ায় সেতু হয়নি। পাশাপাশি তিনি বলেন, যেহেতু জমি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই আমরা ওখানে একটা ঝুলন্ত সেতু কিংবা ফুট ওভারব্রিজ করার চেষ্টা করছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)