নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগে তরুণীর প্রেমিক প্রতীপ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীর সঙ্গে প্রতীপের পরিচয় হয়। তারপর ফোন নম্বর আদানপ্রদান। পরে দেখাও করতেন দু’জন। অভিযুক্ত যুবক তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেত। তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রতীপ বিভিন্ন উপায়ে এড়িয়ে যেত। নির্যাতিতা পুলিসে অভিযোগ জানানোর কথা বললে তাঁকে মারধরও করা হয়েছে। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতীপ।
নির্যাতিতা কসবা থানায় অভিযোগ করলে পুলিস বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে শনিবার রাতে অভিযুক্তকে কসবা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। রবিবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে লিগ্যাল এডের আইনজীবী সৈকত রক্ষিত বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয়। সবটাই হয়েছে উভয়ের সম্মতিতে। যদিও সরকারি আইনজীবী শুভাশিস ভট্টাচার্য বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সওয়াল শেষে বিচারক অভিযুক্তকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, নারকেলডাঙা থানা এলাকায় বউমাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শ্বশুরকে। অভিযোগ, গত তিনমাস ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছে শ্বশুর। অভিযোগ, এই ঘটনার কথা জানাজানি হলে তাঁকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল অভিযুক্ত। শনিবার মালিশ করার নাম করে তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে শ্বশুর ফের ধর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। এরপর বউমা ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা রাস্তায় চলে আসেন। সেখান থেকে নিজের দাদাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। দাদাই ১০০ ডায়ালে ফোন করলে নারকেলডাঙা থানা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় শ্বশুরকে।