• পুরপ্রতিনিধিকে খুনের ‘হুমকি’, পানিহাটিতে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
    আনন্দবাজার | ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • ‘পদ থেকে না সরলে খুন করা হবে’— দলেরই শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা পুরপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন আর এক পুরপ্রতিনিধি। সমাজমাধ্যমে তিনি এ নিয়ে সরব হয়েছেন। রবিবার ওই পোস্টের পরে পানিহাটিতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে।

    পানিহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি প্রবীর ভট্টাচার্য ওরফে কুল পানিহাটি শহর (পশ্চিম) তৃণমূলের সভাপতিও। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রবীরের দাবি, ১৩ অগস্ট তাঁর কাছে হুমকি ফোন আসে। এক সময়ে তিনি যাঁকে বাঁচিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তিই তাঁকে পদ থেকে সরতে বলে এবং না-সরলে খুনের হুমকি দেয়। কিন্তু তিনিও মাথা নত করবেন না বলে পোস্টে দাবি করেন প্রবীর। এর পরেই কে হুমকি দিয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

    এর আগে পুরসভার উপ পুরপ্রধান-সহ আরও দুই পুরপ্রতিনিধিকে একাধিক বার অচেনা নম্বর থেকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও কে বা কারা তা করেছিল, জানা যায়নি। প্রবীরের পোস্টে কারও নাম না থাকলেও কার দিকে ইঙ্গিত, তা অনুমান করেন কর্মীরা। কার বিরুদ্ধে অভিযোগ? উত্তরে প্রবীর আইএনটিটিইউসি-র পানিহাটি শহর (পশ্চিম)-এর সভাপতি জয়ন্ত দাসের নাম বলছেন। জয়ন্ত ওরফে গোবিন্দ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি। প্রবীরের দাবি, বাম জমানায় ব্যবসায়িক বিষয়ে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গোবিন্দ ঝামেলায় জড়ালে তাঁকে তিনিই বাঁচান। এ দিন প্রবীর বলেন, ‘‘গোবিন্দ ফোন করে পদ থেকে সরতে বলছেন। না হলে খুনের হুমকি দিচ্ছেন। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা না হলে আইনের পথে যাব।’’

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে গোবিন্দ বলেন, ‘‘পোস্ট দেখেছি। ওখানে কারও নাম নেই। পরে শুনছি, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’’ দলীয় নেতৃত্বকে সব জানিয়েছেন গোবিন্দও। বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘কে কার নাম নিয়ে ফোন করেছে, তদন্তে বোঝা যাবে। তবে অভিযোগ ঠিক নয়। দলে ভুল বোঝাবুঝি নেই।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)