• ৭৫ বছর পূর্তিতে স্বাস্থ্য সেবায় প্রশিক্ষণ খড়্গপুর আইআইটিতে
    আনন্দবাজার | ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • প্রতিষ্ঠানের ৭৫তম বর্ষে পা দেওয়াকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে আলাদা শিক্ষাকেন্দ্র করে স্বাস্থ্য সেবায় প্রশিক্ষণ দিতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটি।

    আজ, সোমবার খড়্গপুর আইআইটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে। আসতে পারেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, শিল্পপতি গৌতম আদানি প্রমুখ। আগামী এক বছর ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। পরের বছর সাড়ম্বরে হবে ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। তার আগে দেশের গ্রামীণ ও শহরতলি এলাকার যুবসমাজের জন্য ক্যাম্পাসেই ‘স্কুল ফর স্কিলস: হেলথ কেয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি’ চালু করতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটি। ইতিমধ্যে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনও এসে গিয়েছে।

    চলতি বছর থেকেই এই শিক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ‘ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কে’র নিয়ম মেনে হাসপাতালের জেনারেল ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইমাঞ্জেন্সি মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান এবং ফ্লেবোটোমিস্ট হওয়ার কোর্স চালু হতে চলেছে। আগামী নভেম্বর থেকে ওই কোর্সগুলি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে’র অনুমোদনে এই শিক্ষণকেন্দ্র হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদের স্বল্পমেয়াদী ওই তিনটি প্রশিক্ষণেই পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে ইন্টার্নশিপও করতে হবে।

    মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানের এক বছরের কোর্সে ছ’মাস, বাকি দুই কোর্সে দু’মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। প্রশিক্ষিতদের যাতে আইআইটির শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুযোগ দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনাও করছে কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, “এটা আইআইটির যাত্রায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা স্কুল ফর স্কিল, হেলথকেয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করতে চলেছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে গ্রামীণ এলাকার যুবদের স্কিল বাড়ানোর এই কেন্দ্র গড়ার অনুমোদন পেয়েছি। ১৫০ জনকে প্রতিবছর স্বাস্থ্যসেবায় প্রশিক্ষিত করব। এই স্কুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আমাদের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দক্ষ কর্মী সরবরাহ করবে।”

    শুধু এই প্রশিক্ষণ নয়, খড়্গপুর আইআইটি এ বার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জন্যও নানা পরিকল্পনা করেছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ৫০টি কম্পিউটার ও ক্লাসঘরের আসবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর। তাঁর কথায়, “আইআইটি খড়্গপুর ৭৫ বছর পা দিতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শিখিয়েছেন আত্মনির্ভর ভারতের কথা। দেশ অনেক বড়। সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠান এতটা বড় নয় যে আগামীকালই আমরা দেশ বদলে দেব। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন অধিবাসীদের মধ্যে বদল আনতে পারি।” সেই সূত্রেই আইআইটির বাইরের যুবকদের জন্য নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাইছে দেশের প্রথম সারির এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি বলছেন, “আমি অধিকর্তা হওয়ার পরেও ক্যাম্পাসে থাকা টেকমার্কেটে যাই। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি বহুকাল ধরে চিনি এমন কেউ বলেন স্যর একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। কাজ দেওয়ার তুলনায় কাজের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)