বর্ষার শুরু থেকে ভাল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে অন্য বারের মতো এ বার জলের প্রত্যাশায় বীজতলা তৈরি পিছিয়ে যায়নি। টানা বৃষ্টিতে আমন ধান রোপণের জন্য মাটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল আগেই। মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় ধান গাছের চারা রোপণ শেষ হওয়ার মুখে। স্বস্তিতে চাষিরা।
কান্দি মহকুমার বড়ঞা, কান্দি, খড়গ্রাম, ভরতপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে চাষিরা জানান, টানা বৃষ্টিতে খেতে জল জমায় ধানগাছের চারা রোপণ সহজ হয়েছে। এ বারের মতো বৃষ্টিপাত বহু বছর হয়নি বলে দাবি তাঁদের। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, আমন ধানের চারা রোপণের জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন, ইতিমধ্যে তা হয়েছে। জেলা জুড়ে ভাল বৃষ্টি হচ্ছে। চাষিদের বীজতলা তৈরি করা থেকে চারা রোপণ— সবই মসৃণ ভাবে হয়েছে। অন্য বছর বৃষ্টির অভাবে বীজতলা তৈরি থেকে ধান রোপণের কাজ অনেক দেরিতে শুরু হয়। কিন্তু এ বার ঠিক সময়েই তা হয়েছে। কৃষিবিদদের বক্তব্য, আমন ধান অগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করা যায়। কিন্তু এ বার ইতিমধ্যে ০০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়ে গিয়েছে। কান্দি মহকুমার পাঁচটি ব্লকে ৮০-৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। সেখানেও প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে রোপণের কাজ শেষ। এ বার আগেভাগে আমনের চারা রোপণ করায় রবি মরসুমে ডাল শস্য, আলু, সর্ষে চাষে কিছুটা বেশি সময় পাবেন চাষিরা।
কান্দির চাষি বিনয় মণ্ডল, নুরজামাল শেখ বলেন, “এ বার আমন ধান চাষে সেচের অভাব হয়নি। ফলন ভাল হবে বলেই আশা করছি।” জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ওজিফা বেগম বলেন, ‘‘এ বার শুরু থেকেই জোরালো বর্ষা। চাষিদের আমন ধান সময়ে রোপণ করতে অসুবিধে হয়নি। তবে ধানের উৎপাদন মার খেতে পারে প্লাবনে।’’