রাজীব চক্রবর্তী: সিবিআই মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি রয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্য এবং এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। ইডি নির্দেশের মতোই সিবিআই মামলাতেও একই শর্তে জামিন দেওয়ার নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চের নির্দেশ।
তবে জামিন পেলেও এখনই জেল মুক্তি হচ্ছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পর সিবিআই মামলাতেও জামিন পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সাল থেকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছেন।
সোমবার সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ মৃদুল আদালতে হাজির হয়ে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পক্ষে সওয়াল করেন। মৃদুলের বক্তব্য, 'আমি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে আছি। এখনও চার্জগঠন হয়নি, কারণ অনুমোদন মেলেনি।' সিবিআই-এর পক্ষে এএসজি এসভি রাজু বলেন, 'এটি খুবই গুরুতর মামলা।' বিচারপতি সুন্দরেশ প্রশ্ন তোলেন— 'আমরা কাউকে শাস্তি দিতে চাই না। কিন্তু এতদিন ধরে ভেতরে কেন?'
রাজুর দাবি, দেরির জন্য সিবিআই দায়ী নয়, বরং অভিযুক্তদের পক্ষই সময়ক্ষেপণ করছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় বহু অযোগ্য মানুষকে টাকা দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃদুল আদালতে আশ্বাস দেন- 'আমরা আদালতের যে কোনও শর্ত মানতে রাজি।' আদালতের আদেশ অনুযায়ী, তিন বছর ধরে কারাবন্দি অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জগঠন করতে হবে এবং পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জেরা সম্পন্ন করতে হবে।