• নিউ মার্কেট থানায় হাজিরা দিলেন না বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা, প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ বিরোধী দলনেতার
    আনন্দবাজার | ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • কলকাতা পুলিশের ডাকে হাজিরা এড়িয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা। সোমবার কলকাতা পুলিশের নিউ মার্কেট থানায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। তবে দুপুর গড়াতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ডিন্ডা থানায় হাজিরা দেবেন না। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সকালে সল্টলেকের পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।

    ঘটনার সূত্রপাত নবান্ন অভিযানকে ঘিরে। ওই দিন ময়নার বিজেপি বিধায়ক ডিন্ডা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তৃতা করেন বলে অভিযোগ। ওই দিনের কর্মসূচিতে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা আহত হলে তাঁর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরেই কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন ডিন্ডা। গত সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, ডিন্ডাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। আদালত আগাম জামিনও মঞ্জুর করে দেয়। তবে পাশাপাশি নির্দেশ দেয়, তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে।

    বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের সময় তিনি কর্মীদের উদ্দেশে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন, যার জেরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়। যদিও ডিন্ডা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি শুধুমাত্র দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য বক্তৃতা করেছিলেন, আইনভঙ্গ বা উস্কানির উদ্দেশ্যে নয়। আইনি দিক থেকে সোমবার তাঁর জন্য স্বস্তির খবরও এসেছে। হাই কোর্টের পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকেও তিনি জামিন পেয়েছেন। বিজেপির পরিষদীয় দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আপাতত ময়নার বিধায়ক থানায় হাজিরা দেবেন না। তবে তদন্তে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। আইনি পরামর্শ নিয়েই তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।

    দলীয় বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “পার্ক স্ট্রিটে যা ঘটেছে, তা আপনারা দেখেছেন। কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে আমাদের অনেক বিধায়ক স্বস্তি পেয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়ো মামলা হয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, পুলিশের তলবে হাজিরা না-দেওয়া ডিন্ডার গতিবিধির উপর বাড়তি নজর থাকবে পুলিশ-প্রশাসনের। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের একাংশের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে সহযোগিতা করলেই যথেষ্ট, শারীরিক ভাবে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    অন্য দিকে, নবান্ন অভিযানের দিন বিরোধী দলনেতা কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার উদ্দেশে কটু কথা বলেন বলে অভিযোগ। তাঁর সেই মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে পুলিশের স্ত্রীরা কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির কো-অর্ডিনেটর শান্তনু সিন্‌হা বিশ্বাস এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলেফেয়ার কমিটির উদ্যোগে ওই সাংবাদিক বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। নিজের অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ কয়েকটি ছবি ও একটি ভিডিয়োও দেখান তিনি (যদিও ওই ভিডিয়োয় সত্যতা যাচাই করেন্ আনন্দবাজার ডট কম)।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)