‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, ওই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় আপাতত মামলার শুনানি মুলতবি থাকবে। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে দিল আদালত। পাশাপাশি, বিচারপতি সিংহ জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানির আগে সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে।
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম উঠে আসে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার বিরুদ্ধে। ইডি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার সিইও। ইডি এ-ও জানিয়েছিল, সংস্থার ডিরেক্টর পদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অভিষেকের বাবা-মা-ও। বিচারপতি সিংহ ইডি-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও অভিষেক-সহ সকল ডিরেক্টরের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে। সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ানও ইডির কাছে চায় হাই কোর্ট। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অভিষেক-সহ লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর এবং শীর্ষ পদাধিকারীদের সম্পত্তির তথ্য হলফনামা আকারে কলকাতা হাই কোর্টে জমা দেয় ইডি। সেই বিবরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিংহ।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সে কারণে সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, ওই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় আপাতত মামলার শুনানি মুলতবি থাকবে।
লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। অভিযোগ, সে সময় সংস্থার কম্পিউটারে তারা বেশ কিছু ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে এসেছিল। সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
পরে ইডি ফাইল ডাউনলোড করার কথা স্বীকার করে নেয়। তারা লালবাজার এবং লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে ইমেল মারফত ব্যাখ্যা দিয়ে জানায়, তাঁদের এক তদন্তকারী অফিসার ওই সংস্থার কম্পিউটারে নিজের কন্যার কলেজের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই কোনও ভাবে ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়ে থাকবে। এর পর লালবাজার থেকে ইডির প্রতিনিধিকে তলব করা হলেও কেউ যাননি। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় ইডি অফিসারের ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ।