মোহনবাগান তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠকে বড় মুখ করে জেসন কামিংস বলেছিলেন, “ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে ভাবছি না। আমরা নিজেদের খেলাটাই খেলব। শেষ কয়েকটি ডার্বিতে আমরাই জিতেছি।”
সেই মোক্ষম আত্মতুষ্টির জায়গাতেই ঘা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুসো। কামিংসের কথাই বুমেরাং হয়ে তাঁর কাছে ফিরল। তবে ম্যাচের পরে তিনি যা করলেন তা অন্তত একজন বিশ্বকাপারের থেকে কাম্য নয়। মোহনবাগান টিম বাস স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর সময়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উদ্দেশে মধ্যমা দেখিয়ে অশালীন ইঙ্গিত করেন। ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ ধ্বনির প্রত্যুত্তরে তাঁর এই ভঙ্গি কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
এই নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে আর এক অস্ট্রেলীয় গ্রেগ চ্যাপেলের কথাও। ভারতের কোচ থাকাকালীন তিনিও ইডেনে টিম বাসে উঠে সমর্থকদের উদ্দেশে মধ্যমা দেখিয়েছিলেন। ফলে রবিবার গ্রেগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন কামিংস।
সারা ম্যাচ জুড়ে একমাত্র অনিরুদ্ধ থাপার গোল ছাড়া মোহনবাগানের পক্ষে বলার মতো প্রায় কিছুই নেই। তবে সাংবাদিক বৈঠকে আত্মতুষ্টির কথা একেবারেই মেনে নিলেন না সবুজ-মেরুন কোচ হোসে মলিনা। বলে দিলেন, “আমরা প্রথমার্ধে একেবারেই ভাল খেলতে পারিনি। সেটাই ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বের করে দেয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাবর্তন করি। তখন ফুটবলাররা চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর সুযোগ নষ্ট হয়েছে। হয়তো সেই সুযোগ পেলে আমরা টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম।” হারের জন্য সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন মলিনা।
ডান দিকে বারবার মনবীর সিংহের অভাব টের পাওয়া গিয়েছে। তাঁর জায়গায় খেলা পাসাং দোরজি তামাং মোটেও মনবীরের অভাব পূরণ করতে পারেননি। সেই প্রসঙ্গে মলিনা বলেছেন, “মনবীর ভাল ফুটবলার। আমরা ওর অভাব ঢাকতে পারিনি। তবে অযথা অজুহাত দিতে চাই না। আমাদের সাহাল আব্দুল সামাদ, লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলার ছিল। তাঁরা গোল করতে পারেনি।”
কার্যত লিস্টনের প্রান্তিক আক্রমণ রুখে দিয়েই যে ইস্টবেঙ্গল সাফল্য পেয়েছে তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন মলিনা। তাঁর কথায়, “ইস্টবেঙ্গল আমাদের সকলকে চেনে। আমাদের খেলার ধরন জানে। লিস্টনের কার্যকারিতা একেবারেই দেখা যায়নি।” তবে হারের জন্য ফিটনেসকে দোষ দিলেন না স্পেনীয় চাণক্য।