ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে জাতীয় শিবিরে ফুটবলার ছাড়তে নারাজ মোহনবাগান, আনোয়ারদের ছাড়তে চাইছে না লাল-হলুদও
আনন্দবাজার | ১৮ আগস্ট ২০২৫
রবিবার ডুরান্ড কাপে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে মোহনবাগান। এর পরে তারা সিদ্ধান্ত নিল, জাতীয় দলের জন্য কোনও ফুটবলার ছাড়া হবে না। ফুটবলার ছাড়তে নারাজ ইস্টবেঙ্গলও। দুই দল দু’রকম যুক্তি দিয়েছে।
মোহনবাগানের দাবি, ফিফা উইন্ডো ছাড়া তারা ফুটবলার ছাড়তে বাধ্য নয়। অতীতে দলের ফুটবলারদের চোট নিয়ে অবহেলা এবং যোগাযোগের অভাবের জন্য ফেডারেশনকে দুষেছে তারা। পাশাপাশি তাদের দাবি, সামনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর খেলা রয়েছে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে তারা। তাই প্রস্তুতির জন্য ফুটবলারদের ছাড়া হবে না। ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছে, তাদের কাছেও ডুরান্ড কাপ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফুটবলারদের এখনই জাতীয় শিবিরে ছাড়া হবে না।
মোহনবাগানের তরফে জাতীয় শিবিরে ডাক পেয়েছেন অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহ, সাহাল সামাদ এবং বিশাল কাইথ। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য ডাক পেয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট, প্রিয়াংশ দুবে এবং অভিষেক সিংহ। কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গল ছাড়ছে না আনোয়ার আলি, জিকসন সিংহ এবং নাওরেম মহেশকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহনবাগানের এক কর্তা তোপ দেগেছেন ফেডারেশনের দিকে। তিনি উল্লেখ করেছেন শুভাশিস বসুর কথা। মার্চে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস। এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি। ওই কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “যত বার আমাদের ফুটবলার নিয়েছে, তিন-চার জন চোট নিয়ে ফিরেছে। ফেডারেশন কোনও রকমের যোগাযোগ করেনি। ফুটবলারদের খেয়ালও রাখেনি।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “শুভাশিসের দিকে দেখুন। এখনও রিহ্যাবে রয়েছে। এখনও মরসুমের একটা ম্যাচেও খেলতে পারেনি। আমরা তো ওর বেতন দিচ্ছি। কিন্তু ফেডারেশনের তরফে কেউ একটা খোঁজও নেয়নি ওর ব্যাপারে। ফিফা উইন্ডো না হওয়ায় আমরা ফুটবলার ছাড়তে বাধ্য নই। চোট পেলে কেউ দায়িত্ব নেবে না।”
দুই প্রধান ফুটবলার না ছাড়ায় কাফা নেশন্স কাপে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের পাবেন না কোচ খালিদ জামিল। এ দিন ফেডারেশন জানিয়েছে, জামশেদপুরের আলবিনো গোমস এবং মনবীর সিংহ, পঞ্জাবের মুহাম্মদ উভাইসকে জাতীয় শিবিরে ডাকা হয়েছে।