ভোটের অনেক আগে BLO-র তালিকা কেন, কমিশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে TMC, কোর্ট বলল.
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৫
ভোটের বহু আগেই বুথ লেভেল এজেন্টদের নাম জমা চাওয়ার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ তড়িঘড়ি শুনানির প্রার্থনা খারিজ করে দেন। ফলে বিষয়টি এখন নিয়মিত তালিকা অনুযায়ী শুনানির জন্য উঠবে।
মামলাটি দায়ের করেছেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি ও দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। আদালতে তাঁর পক্ষে আইনজীবী অর্ক নাগ যুক্তি দেন, সাধারণত নির্বাচন ঘনালেই কমিশন দলগুলির কাছ থেকে বিএলএ-র নাম নেয়। এখনও ভোট বহু দূরে, অথচ জুন-জুলাইয়ে তালিকা চাওয়া হয়েছে। এটা নজিরবিহীন তাড়াহুড়ো। জবাবে আদালতের প্রশ্ন, কমিশন কি শুধু তৃণমূলকেই নাম দিতে বলেছে? যদি না হয়ে থাকে, অন্য দলগুলির আপত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে শাসকদলের সমস্যা কোথায়?
প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই মাসে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দ্রুত বিএলএ-র তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ নাম পাঠাতে বলেছে সিইওর দফতর। কমিশনের এই সক্রিয়তা বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে শাসক দল। বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই তালিকা বানাতে নেমে পড়েছে বলেও খবর।
তবে ঠিক কবে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের সময়সূচি এখনও নির্ধারিত হয়নি। নির্বাচন কমিশনার তা স্থির করবেন। এদিকে কমিশনের পক্ষ থেকে বুথপ্রতি ভোটার-সংখ্যার সীমা ১,৫০০ থেকে কমিয়ে ১,২০০ করার প্রস্তুতির কথাও সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। এতে বুথ বেড়ে যেতে পারে এবং সংগঠনগত কারণে আগেভাগেই বিএলএ তালিকা চাইছে কমিশন। এমন প্রশাসনিক যুক্তিও সামনে আসছে। বিএলএ-র নাম আগাম চাওয়া নিয়ে তৃণমূল আদালতের দ্বারস্থ হলেও, জরুরি শুনানি না-হওয়ায় এখন মামলাটি নিয়ম মেনে পরবর্তী তারিখে শুনানি হবে। এরই মধ্যে কমিশনের নির্দেশ বলবৎ রয়েছে, দলগুলিকে দ্রুত বুথ এজেন্টদের নাম জমা দিতে বলা হয়েছে। এসআইআরের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও জারি রয়েছে। মামলাকারী শুভাশিস বলেন, দলের পরামর্শ এবং নির্দেশ মেনেই কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন তিনি।