প্রদ্যুৎ দাস: ইদুর জ্বরে হাহাকার জলপাইগুড়িতে। যদিও বিতর্কিত পোল্ট্রি ফার্ম থেকে জন্ডিস বা লেপ্টোস্পাইরা ছড়ায়নি। ফার্মের জলের নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ। বেলগাছিয়া থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এমনটাই জানালেন জলপাইগুড়ি প্রাণীসম্পদ আধিকারিক। একইসঙ্গে জেলাশাসক জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোটিস জারি করা হয়েছে। পাখির সংখ্যা অনেক হওয়ায়, সমস্যা পুরো সমাধানে কিছু সময় প্রয়োজন।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের চেকর মারি গ্রামে জন্ডিস ও লেপ্টোস্পাইরা রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। এরপরই ওই গ্রামে থাকা সাই সিবম পোল্ট্রি ফার্ম থেকে গত সপ্তাহে জলের নমুনা সংগ্রহ করে প্রাণীসম্পদ দফতর। তারপর সেই নমুনা পাঠানো হয় বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিক। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে ফার্ম কর্তৃপক্ষর। অপরদিকে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর সোমবার জলপাইগুড়ি ডিএম অফিসে জরুরি বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক শামা পারভিন। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ, রাজগঞ্জের বিধায়ক, জেলাপরিষদের সভাধিপতি, প্রাণীসম্পদ দফতর, স্বাস্থ্য দফতর সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকেরা।
বৈঠকের পর প্রাণী সম্পদ দফতরের ডেপুটি ডিরেকটর ডাক্তার অভিজিৎ মন্ডল বলেন, পোল্ট্রি ফার্ম থেকে জন্ডিস ছড়ায়নি। আমরা বিভিন্ন জায়গার জলের নমুনা সংগ্রহ করে বেলগাছিয়াতে পাঠিয়েছিলাম পরীক্ষার জন্য। তার মধ্যে ফার্মের জলের নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এখান থেকে লেপ্টোস্পাইরা ছড়ায়নি। অন্যান্য দফতরও বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেই রিপোর্ট আসলে পরই বোঝা যাবে গ্রামে জন্ডিস বা লেপ্টোস্পাইরা কোথা থেকে ছড়িয়েছে।
সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফার্ম বন্ধ হলে অনেক লোক কাজ হারাতেন। কিন্তু ওই ফার্ম যাতে সবসময় দূষণ মুক্ত থাকে তার জন্য ফার্ম কর্তৃপক্ষকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এপ্রসঙ্গে ফার্ম মালিক বিকাশ রেড্ডি বলেন, আমরা ডিএম-এর অর্ডার মতো মুরগি স্থানান্তর শুরু করেছিলাম। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই এই মুহূর্তে ফার্ম বন্ধ হচ্ছে না। এক্সপার্ট টিম ফার্মে যাবে। আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রায় ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। ফার্ম বন্ধ হলে সমস্যায় পড়ে যেত সবাই। জেলাশাসকের আজকের নির্দেশে খানিকটা আশার আলো পাওয়া গিয়েছে।