জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বাংলার কথায় বললেই অপরাধী তকমা দেওয়া হচ্ছে'। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এবার পুর্নবাসন প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী। বললেন, 'এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরিয়ে আনা ও জীবিকার জন্য সাহায্য করা'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিক বাইশ লক্ষ আছে। কিন্তু বাংলার বাইরেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমাদের রাজ্যে প্রায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। আমি এটা বলব শুধুমাত্র যাঁরা ফিরে আসছেন, বাংলার পরিয়ায়ী শ্রমিক যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন, তাঁরা যারা ফিরে আসছেন অসহায় অবস্থায় অত্যাচারিত হয়ে, ভাষা সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে। তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলার ভাষায় কথা বলা অপরাধ। কাজেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলার যেসকল পরিযায়ী শ্রমিক, বাংলার বাইরে কাজ করছে, তাঁদের ফিরিয়ে এনে, এবং তাঁরা যদি নিজেরাও ফিরে আসতে চায়, তাঁদের পুর্নবাসনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নাম দিয়েছি শ্রমশ্রী'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় ফিরে আসার পর প্রথম ১ বছর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পুনর্বাসন ভাতা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবেন। কারও পাকা বাড়ি না থাকলে আবাস যোজনায় অনুদান পাবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার জন্য সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। তা ছাড়া অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে তাঁদের'।
'শ্রমশ্রী' প্রকল্পের কারা সুবিধা পাবেন? প্রাথমিকভাবে বাংলার ২২ লক্ষ ৪০ হাজার শ্রমিক যাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারি পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের রূপায়ণ ও কার্যকারিতা সরাসরি নজরদারি করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'বিভিন্ন রাজ্যে য়েখানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আছে, সেখানে বাংলা ভাষা, বাঙালি পরিচয় দেখে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বাংলায় কথা বললেই অপরাধী হিসেহে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কোথাও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য এখনও পর্যন্ত হেনস্থার শিকার হয়েছে বাইশ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার'।