• প্রেমের টানেই মধ্যমগ্রামে সচ্চিদানন্দ? আরও জটিল বিস্ফোরণ রহস্য
    প্রতিদিন | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: মধ্যমগ্রাম-বিস্ফোরণ কাণ্ডে আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য! প্রেমের টানেই মৃত যুবক সচ্চিদানন্দ মধ্যমগ্রামে আসে? সোমবার দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে সেই ইঙ্গিত দিলেন বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া। বিস্ফোরণের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল ওই যুবক ঠিক কী কারণে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসেন? নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না।

    এদিন পুলিশ সুপার বলেন, ”মৃতের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এখানের কোনও তরুণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল।” যদিও এই বিষয়ে আরও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। শীর্ষ এই পুলিশ আধিকারিকের দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ‘রহস্যময়ী’ ওই তরণীকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ। ওই তরুণীর বাড়ি মধ্যমগ্রাম স্কুলের সামনেই।

    বলে রাখা প্রয়োজন, রবিবার মধ্যরাতে বয়েজ স্কুল সংলগ্ন ‘রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চ’ এলাকায় প্রবল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে অভিঘাতে অভিযুক্ত যুবক সচ্চিদানন্দের বাঁ হাত, এবং পা উড়িয়ে গিয়েছে। শরীর জুড়ে তৈরি হয় একাধিক ক্ষত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে এনআইএ।

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া আরও জানান, ”মৃতের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ফরেন্সিক টিমের তরফে জানা গিয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ভুল করে চাপ কিংবা অসাবধানতার ফলেই বিস্ফোরণ হয়েছে। কীরকম বিস্ফোরক ছিল, তা নমুনা বিশ্লেষণের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে। পরিবারের লোক আসছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে।”

    জানা গিয়েছে, মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বস্তি জেলায় তাঁর বাড়ি। তবে কাজের সূত্রে হরিয়ানাতে থাকত সচ্চিদানন্দ। সেখানের একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না। এমনকী সে যে মধ্যমগ্রামে এসেছিল, তাও জানত না পরিবার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)