সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নির্বাচন কমিশন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করেছে। তা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ও ডায়মন্ড হারবারে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কুলপি বিধানসভার নামই ওই ভোটার তালিকা থেকে সম্পূর্ণভাবে উধাও বলে অভিযোগ। এদিকে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার অধীন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার পুরো একটি ওয়ার্ডের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! ভোটার তালিকায় অস্তিত্ব নেই ওই পুরসভার আরও একটি ওয়ার্ডের দুটি অংশেরও! এসআইআর আবহে এই দুই বিধানসভার সম্পূর্ণ একটি বিধানসভার ও অন্যটির বেশ কয়েকটি বুথের ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
২০০২ সালের প্রকাশিত ওই ভোটার তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের নাম থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে আশ্চর্যজনকভাবে পুরোপুরি উধাও গোটা কুলপি বিধানসভাই। অর্থাৎ, কুলপি বিধানসভার কোনও ভোটারের নামই প্রকাশিত ওই ভোটার তালিকায় নেই। ভোটার তালিকায় নাম নেই ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার অধীন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনও ভোটারেরও। এছাড়াও ওই পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেরও দু’টি অংশের ভোটারদের নাম ওই তালিকায় নেই বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই দুই বিধানসভার ভোটারদের মধ্যে।
কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার এই বিষয়টি জেনে বিস্মিত। বিধায়ক জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে তাঁকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, বিষয়টি প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নজরে এনেছে। ২০০২ এর ওই ভোটার লিস্টে তাঁর বিধানসভার নাম না থাকলেও ২০০৩-এর ভোটার লিস্ট অনুযায়ী শীঘ্রই যাতে ওই বিধানসভার নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার জানান, তাঁর বিধানসভার অধীন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত দু’টি বুথ নিয়েই। প্রকাশিত ওই ভোটার তালিকায় সেই দুটি বুথেরই কোনও অস্তিত্ব না থাকায় কোনও ভোটারেরই নাম ওই ভোটার তালিকায় নেই। বিষয়টি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনতে চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের প্রকাশিত ভোটার তালিকায় সম্পূর্ণ একটি বিধানসভা ও আরও একটি বিধানসভার বেশ কিছু বুথের কোনও অস্তিত্ব না থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।