অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলার অভিযোগে ধৃত গবেষক হিন্দোল মজুমদারকে জামিন দিল আলিপুর আদালত। ব্যক্তিগত এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। গ্রেপ্তারির চারদিনের মধ্যেই জামিন নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত যেখানে আগের শুনানিতেই হিন্দোলের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাঁর কার্যকলাপের সঙ্গে জঙ্গি আফতাব আনসারির সঙ্গে তুলনা করেছিল পুলিশ। তবে সোমবার আদালতে হিন্দোলের বিরুদ্ধে জোরদার কোনও প্রমাণ পেশ করা যায়নি। ফলে ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
গত মার্চে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরনোর সময় গাড়ি ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর নেপথ্যে পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে হিন্দোল মজুমদার নামে যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র তথা গবেষকের নাম। তিনি স্পেনে থাকেন, সেখানেই গবেষণা করেন। বিদেশে বসেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে হামলার ষড়যন্ত্র হিসেবে পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা উল্লেখ করেছিল পুলিশ। গত বুধবার স্পেন থেকে কলকাতায় ফেরার পর বিমানবন্দর থেকেই হিন্দোলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে ছিলেন হিন্দোল।
সোমবার আলিপুর আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করে আইনজীবী গোপাল হালদার সওয়াল করেন, এই মামলায় নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। তাঁর মক্কেল স্পেনে থাকেন, কলকাতাতে থাকেনও না, বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসে এই অবস্থা। তিনি আরও বলেন, ”ছেলেটার শিক্ষাগত যোগ?্যতা দেখুন। সেসময় তো তিনি সশরীরে উপস্থিতও ছিলেন না।” বলা হয়, পুলিশ যা বলছে অর্থাৎ স্পেনে বসে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে প্রাক্তন পড়ুয়াদের ইন্ধন দিয়েছিলেন হিন্দোল, তাও সত্যি নয়। এরপর সরকারি আইনজীবী হিন্দোলের ফের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বলেন, ”কেস ডায়েরিতে হোয়াটসঅ?্যাপের সব বিষয়টি দেওয়া আছে।” এসব সওয়াল-জবাবের পর বিচারক হিন্দোলের আবেদন মঞ্জুর করেন।