সংবাদদাতা, বারুইপুর: একটি বাড়ির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক তারে পা লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রতিবেশী যুবক পলাশ সর্দারের। অভিযোগ, বেকায়দায় পড়তে পারেন ভেবে পলাশের মৃতদেহ মাতলা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন ওই বাড়ির মালিক দীনবন্ধু পয়রা। পরে অনুশোচনা থেকে জয়নগর-মজিলপুর স্টেশনে গিয়ে রেললাইনে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু স্থানীয়দের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপরেই দীনবন্ধু কুলতলি থানার পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলতলির বালাহারানিয়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ গত ১১ আগস্ট বাড়ি থেকে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন ১২ আগস্ট কুলতলি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। তার পরের দিন, ১৩ আগস্ট বাড়ি থেকে দূরে দীনবন্ধুবাবুর বাড়ির কাছে নদী থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। সেই রিপোর্টে তারা জানতে পারে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পলাশের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই পুলিস তদন্তে নেমে দেখে, দীনবন্ধুর বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক তার লাগানো রয়েছে। পুলিসের সন্দেহ হয় নদীতে যাওয়ার পথে এই তারেই পা লেগে মৃত্যু হয়েছে পলাশের। এদিকে, এর মধ্যে পুলিসের কাছে খবর যায় যে, দীনবন্ধু জয়নগর-মজিলপুর স্টেশনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পুলিস রবিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের কাছে তিনি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। তবে কেন রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে রেখেছিলেন তিনি, তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত দীনবন্ধুর কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পলাশের পরিবারের লোকজন।