• উত্তরবঙ্গের ট্রেনে বিরাট পরিবর্তন, নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে না শতাব্দী এক্সপ্রেস, বদল আনা হল টয় ট্রেনেও...
    আজকাল | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার পরিবর্তন করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গমুখী এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচি‌। উত্তর-পূর্ব রেলের সদর দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রেলের নন ইন্টারলকিং কাজ করা হব। যার জন্য একাধিক দূর পাল্লার ট্রেনকে বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে এনজেপি বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নকশালবাড়ি, বাগডোগরা হয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে ঘুর পথে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কোন কোন ট্রেন বাতিল হল-

    ১. ৭৫৭২১ শিলিগুড়ি জংশন থেকে হলদিবাড়ি DMU প্যাসেঞ্জার ১৯ আগষ্ট২. ১৫৭৭৭/১৫৭৭৮ এনজেপি - আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেস৩. ৫৫৭৪৯/৫৫৭৫০ নিউ জলপাইগুড়ি - হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার৪. ১৫৭০৩/১৫৭০৪ নিউ জলপাইগুড়ি - বঙ্গাইগাও প্যাসেঞ্জার ৫. ১৫৭১০/১৫৭০৯ নিউ জলপাইগুড়ি - মালদা টাউন এক্সপ্রেস ২০ আগস্ট পর্যন্ত৬. ৭৫৭২২ হলদিবাড়ি - শিলিগুড়ি জংশন DMU ২০ আগস্ট পযর্ন্ত বাতিল করা হয়েছে।

    অন্য দিকে, কিছু ট্রেনের চলাচলের ক্ষেত্রে মূল স্টেশনের পরিবর্তে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে । যার মধ্যে রয়েছে-

    ১. ৫২৫৪১/ ৫২৫৪০ নিউ জলপাইগুড়ি - দার্জিলিং টয়ট্রেন মঙ্গলবার শিলিগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাতায়াত করবে।২. ১২০৪১/১২০৪২ নিউ জলপাইগুড়ি - হাওড়া যাতায়াত কারী শতাব্দী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ির পরিবর্তে কিষানগঞ্জ পর্যন্ত যাতায়াত করবে।

    রেল জানিয়েছে, কিষানগঞ্জ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বাকি পথ যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলের তরফে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হবে বলে জানিয়েছে রেল দপ্তর।

    ‘ইন্টারলকিংয়ের কাজ’ মানে রেলওয়ে স্টেশনের ইন্টারলকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন বা মেরামতের কাজ। এটি প্রায়শই রেল লাইনের সম্প্রসারণ, সিগন্যালিং সিস্টেমের উন্নতি বা প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণের মতো কাজের সাথে সম্পর্কিত। এই ধরনের কাজ চলাকালীন, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে, যেমন কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে বা সময়সূচীতে পরিবর্তন হতে পারে।  ইন্টারলকিংয়ের কাজ হল রেলওয়ে স্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করে। এই ধরনের কাজ চলাকালীন, যাত্রীদের কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

    কলকাতা থেকে যে ট্রেনগুলিতে সারা বছর ভিড় থাকে তার মধ্যে একটি হল শতাব্দী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সবসময় থাকে তুঙ্গে। সাধারণ যাত্রী ছাড়াও ব্যবসায়ীদের অন্যতম পছন্দ হল এই ট্রেন। ট্রেনটি দিনের ট্রেন। দ্রুতগামী বলে অন্য ট্রেনের তুলনায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে অনেক কম সময়ে পৌঁছে যায়। পুজোর মুখে এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ভীষণভাবে বেড়ে যায়। দার্জিলিং মেল বা অন্যান্য ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়য় এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা। গোটা ট্রেনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই ট্রেনটির 'স্টপেজ' বা যাতায়াতের পথে অল্প সংখ্যক স্টেশনে দাঁড়ায়। যেহেতু ট্রেনে কেটারিং-এর ব্যবস্থা আছে সেজন্য আলাদা করে যাত্রীদের সফরের সময় খাবার না আনলেও চলে। 

    এই ট্রেনের জন্য আগে থেকেই আসন সংরক্ষণ করতে হয়। রেল সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। যদিও গোটা পথের পুরোটাই এই গতিতে চলে না। ট্রেনে লাগেজ রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। অন্যদিকে দার্জিলিং ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হল টয় ট্রেন। যে ট্রেনে আসন আগে থেকে সংরক্ষণ না করলে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ এতটাই বেশি থাকে এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা। গতির দিক থেকে সেরকম কিছু না হলেও দার্জিলিং যারা বেড়াতে যান তাঁদের সকলেরই লক্ষ্য থাকে টয় ট্রেনে ভ্রমণ। যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ট্রেনের পরিষেবাও আগের থেকে অনেক উন্নত করেছে রেল দপ্তর।
  • Link to this news (আজকাল)