অর্ণব আইচ: স্কুটার চালানো শিখতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে উধাও তরুণ-তরুণী। আনন্দপুর এলাকার পঞ্চান্নগ্রামের ঘটনায় রহস্যের জাল! দুর্ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হল নাকি খুন? এখনও অজানা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আনন্দপুরের চিনা মন্দির সংলগ্ন খালে ডুবুরি নামিয়ে দেহের তল্লাশি চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খালপাড় থেকে ‘বাঁচাও’ বলে এক মেয়ের গলা শুনেছিলেন তাঁরা। তারপর সেখানে গিয়ে অবশ্য স্কুটার ছাড়া কিছুই দেখতে পাননি। তাঁদের অভিযোগ, তরুণীর সঙ্গে থাকা তরুণ পালিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। তিনিই কি খুন করলেন নাকি স্কুটার চালানো শেখার সময় ব্যালান্স হারিয়ে তরুণী নিজেই খালে পড়ে যান? হাজারটা প্রশ্ন সামনে রেখে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের তরুণী রনিতা বৈদ্য স্কুটার শিখতে যান আনন্দপুরের চিনা মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন রোহিত আগরওয়াল নামে এক যুবক। সন্ধ্যা থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিকেলে ওই অঞ্চলে স্কুটার শিখতে যাওয়া দুই তরুণ, তরুণীকে তাঁরা দেখেছিলেন। কেউ কেউ জানান, দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। তার মধ্যেই ওই তরুণ মেয়েটিকে ধাক্কা দেয় বলে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ। তবে কি রোহিতই ধাক্কা মেরে তরুণীকে খালে ফেলে খুন করল? নাকি দুর্ঘটনাবশত খালের জলে পড়ে গিয়েছেন রনিতা? তারপর আর উঠে আসচে পারেননি? এমনই হাজারও প্রশ্ন ঘুরছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আনন্দপুর থানার পুলিশ খালে ডুবুরি নামিয়ে রনিতার খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে স্কুটার এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঝগড়ঝাঁটির পর ছেলেটি পালিয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনটি কার? তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। রনিতার দেহ উদ্ধার নিয়েও সন্দিহান তদন্তকারীদের একাংশ। বলা হচ্ছে, এই খাল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সারারাত ধরে জলে ভেসে যদি অনেক দূরে চলে যান রনিতা, তাহলে দেহ উদ্ধার খুব কঠিন হবে।