কার্শিয়াঙে হোমস্টের ছাদ থেকে ‘পড়ে’ মৃত্যু হাওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের! পুলিশের প্রশ্নের মুখে বন্ধু ও বান্ধবীরা
আনন্দবাজার | ১৯ আগস্ট ২০২৫
বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কার্শিয়াঙে ‘রহস্যমৃত্যু’ হাওড়ার যুবকের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। মৃতের নাম সপ্তনীল চট্টোপাধ্যায়। বয়স ২৩ বছর। হাওড়ার দেউলটির ওই বাসিন্দা দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়া ছিলেন।
জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে কলকাতা থেকে চার বান্ধবী এবং দুই বন্ধু মিলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সপ্তনীল ছাড়া বাকিরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরর পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছ’জনের এক জনের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। প্রথমে সকলে জলপাইগুড়িতে যান। সেখানে এক দিন কাটিয়ে দু’দিন আগে কার্শিয়াং বেড়াতে যান। কার্শিয়াঙের ডাউহিলের একটি হোমস্টেতে উঠেছিল ছ’জন। সোমবার সকালে হোমস্টের বাইরে সপ্তনীলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হোমস্টে কর্তৃপক্ষ এবং বন্ধুরা মিলে সপ্তনীলকে প্রথমে কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে মৃত্যুর খবর পেয়েছে পরিবার। সপ্তনীলের কাকা রক্তিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোর ৫টা নাগাদ খবর পাই আমরা। তড়িঘড়ি এখানে পৌঁছেছি৷ কী করে এটা হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হোক।’’
কী ভাবে ছাত্রের মৃত্যু হল, তা নিয়ে সংশয়ে পুলিশও। হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। আপাতত সেই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সপ্তনীল ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন। পুলিশ সুত্রে খবর, সপ্তনীলকে পড়ে যেতে দেখা যায় ছাদ থেকে৷ তবে দুর্ঘটনাবশত তিনি পড়ে গিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কার্শিয়াঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, ‘‘ছয় বন্ধু-বান্ধবী মিলে বেড়াতে এসেছিলেন। ভোরে একটি ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন এক যুবক। তাঁর সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি আমরা।’’
বাগনানের দেউলটি সামতার বাসিন্দা ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। সোমবারই তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ভোরে মৃত্যুসংবাদ যায় বাড়িতে।