বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ ব্লকে রবিবার দু’টি আলাদা সমবায় সমিতির নির্বাচনে একটি পুরোপুরি দখলে রাখল তৃণমূল। অন্যটিতে তৃণমূল-বিজেপি সমান সমান হওয়ার পরে তৃণমূল পুনর্গণনা চাওয়ায় ঝামেলা বেধে যায়। যদিও, শেষ পর্যন্ত পুনর্গণনা হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। দু’টি নির্বাচনেই পুলিশি পাহারা ছিল কড়া। সামনে বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমবায় সমিতিগুলির নির্বাচনে কড়া হাড্ডাহাড্ডিতে নেমেছে শাসক-বিরোধী দুই দল।
বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের দখল রয়েছে বিজেপির। ভাটপাড়া কৃষি সমবায় সমিতির ছ’টি আসনের মধ্যে রবিবার ৩-৩ আসনে জয়ী হয় তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ, তৃণমূলের এক প্রার্থী ২ ভোটে হেরে যান। তারপর নতুন করে গণনার দাবি তোলে তৃণমূল। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ‘‘পুনর্গণনা চাওয়ার নিয়ম মেনে তা চাওয়া হয়নি বলে আমরা পাল্টা দাবি তুলেছিলাম। কারণ শংসাপত্র বিলি হয়ে গিয়েছিল। তার পরে আর পুনর্গণনা চাওয়া যায় না।’’ এলাকার বাসিন্দা তথা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, ‘‘কিছু ত্রুটির জন্য পুনর্গণনা চেয়েও হয়নি।’’ পুরো বিষয়টি নিয়ে এ দিন বিকেল থেকে টানাপড়েন চলে এলাকায়। উত্তেজনা তৈরি হলেও এ দিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
অন্য দিকে, কুমারগঞ্জ ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েতে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা সদস্যদের নিয়ে তৈরি নয় আসনের কুমারগঞ্জ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নির্বাচনও এ দিনই ছিল। জেলা সমবায় দফতর সূত্রের খবর, ওই ভোটে ৯টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং তৃণমূল। বামেরা দেয় একটিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৯-০ তে জয়ী হয় তৃণমূল। পরে বিজেপির তরফে ছাপ্পার অভিযোগ তোলা হয়। দলের জেলা সহ সভাপতি দেবশ্রী সরকার বলেন, ‘‘৮০টির মত ভোট ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। আমরা মৎস্য দফতরে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন দেওয়ার পরেও সেগুলি বাদ যায়নি।’’ যদিও তা মানছেন না তৃণমূল নেতারা। কুমারগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, ‘‘ছাপ্পা হলে তো ব্যবধান অনেক বাড়ত। এক একটি আসনে ৭ থেকে ৩৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে আমাদের প্রার্থীরা।’’ তবে সংখ্যালঘু প্রভাবিত কুমারগঞ্জেও ওই ভোটে বিজেপি-তৃণমূল টক্কর জোরদার ছিল বলে মানছে সকলে। এখানেও কোনও ঝামেলার খবর মেলেনি।