পুনর্ভবার বাঁধ সারাতে জোরকদমে কাজ করছে সেচ দফতর। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে সোমবার থেকে যাদব বাটিতে শিবির চালু করছে কৃষি দফতর। গঙ্গারামপুরের বিডিও অর্পিতা ঘোষাল বলেন, “নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব হচ্ছে। দুর্গতদের মধ্যে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।”
গত শুক্রবার গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাদববাটি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়৷ প্রায় কয়েকশ’ বিঘা জমি ডুবে গিয়েছে। ৩৫-৪০টি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গত শনিবার বৃষ্টি না হওয়ায় পরিস্থিতি একটু উন্নত হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় বানভাসিরা দুশ্চিন্তায়। যদিও নদীর জল এখনও পর্যন্ত বিদপসীমার নীচেই বইছে। তবে বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষি জমিতে প্লাবন এখনও অব্যাহত। সেচ দফতর জানিয়েছে, দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামত করা হচ্ছে। গঙ্গারামপুর মহকুমার সেচ দফতরের অতিরিক্ত নির্বাহী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। তিন চারদিনে কাজ শেষ হবে।” অন্য দিকে, এলাকার কয়েক’শ বিঘা ধানের জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে। কৃষি দফতর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে শিবির করছে যাদববাটিতে। শিবিরে ক্ষয়ক্ষতির হিসেবের পাশাপাশি ফসল বিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।