• বিএলএ তালিকা নিয়ে কোর্টে তৃণমূল, অনাস্থার ব্যাখ্যা অভিষেকের
    আনন্দবাজার | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনাস্থার কারণে বুথ লেভল এজেন্টের (রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি) তালিকা সংক্রান্ত নির্দেশের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা হাই কোর্টে এই নিয়ে মামলা করা হয়েছে দলের তরফে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘কমিশন বিজেপির প্রতিনিধির মতো কাজ করছে। তাই ভোটের এত আগে তাদের হাতে তালিকা দিতে আপত্তি আছে। কারণ, তা বিজেপির হাতে চলে যেতে পারে!’’

    ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের লাগাতার আক্রমণের মুখে রয়েছে কমিশন। সেই জোটের শরিক হিসেবে এ দিন কমিশনকে বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেছেন অভিষেক। বিহারের বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে ওঠা অভিযোগের সূত্রে এ দিন দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে অভিষেক বলেন, ‘‘কমিশনকে প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে বিজেপি! নির্বাচন কমিশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তোলা কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে।’’

    কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির বুথের দায়িত্বে থাকা বিএলএ-দের নামের তালিকা তলব করে কমিশন যে চিঠি দিয়েছে তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁর আইনজীবী অর্ক নাগ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন। অর্ক বলেন, ‘‘রাজ্যে এসআইআর কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেই কাজে বিএলএ-দের নামের তালিকা তলব করেছেন জেলাশাসকেরা। নির্বাচনের সময় কমিশনের অধীনে বিশেষ নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করেন জেলাশাসকেরা।’’ তাঁর দাবি, এই নির্দেশ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী। বিচারপতি অমৃতা সিংহ অবশ্য দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

    এই নিয়ে অভিষেক বলেছেন, ‘‘ভোটের ১০ মাস আগে বিএলএ-দের নাম চেয়েছে কমিশন। ভোটের ৭-১০ দিন আগে চাইলে দেওয়া যায়। আমরা আদালতে গিয়েছি।’’ কেন এই আপত্তি? অভিষেকের কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কোনও তথ্য দিলে তা বিজেপির হাতে চলে যায়। আমি ইডি-র তদন্তের সময় যে সব তথ্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়েছিলাম, সে সব বিজেপির কাছে চলে গিয়েছিল। বিরোধী দলনেতাকে (শুভেন্দু অধিকারী) দেওয়া হয়েছিল।’’

    দেশে এসআইআর আগেও হয়েছে কিন্তু আগের সঙ্গে এ বারের ‘আপেল ও আঙুরের তফাত’ বলে উল্লেখ করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘এসআইআর-এর নামে কারও বৈধ ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের নেতৃত্বে এই লড়াই হচ্ছে দেখে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে দিদি দেখাতে চাইছেন, তিনিও কিছু করছেন!’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)