ডেউচা পাচামিতে ব্যাসল্ট উত্তোলনের বিরোধিতা করে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রকল্প-বিরোধী আন্দোলনকারীরা। সোমবার বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চে মামলাকারীদের কৌঁসুলি ঝুমা সেন দাবি করেন, আগে কোনও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই খনির জন্য জনজাতিভুক্ত বাসিন্দাদের উৎখাত করা হয়েছিল। এ বছর ফের ব্যাসল্ট উত্তোলনের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও নিয়মই মানা হয়নি। ব্যাসল্ট সংক্রান্ত ঘোষণার উপরে তিনি স্থগিতাদেশ চান।
বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মূল মামলার আর্জিতে এই বিষয়টি ছিল না। সে ক্ষেত্রে সংযোজিত আর্জির ভিত্তিতে কী ভাবে স্থগিতাদেশ চাইছেন মামলাকারী? ঝুমার যুক্তি, প্রকল্পের শুরুতে এই বিষয়টি ছিল না। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তি ছাড়াই রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম তড়িঘড়ি ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজ করতে চাইছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আবেদনের শুনানি হবে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ এবং রিপোর্টও তলব করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুনানির পরে সাংবাদিক বৈঠকে ব্যাসল্ট উত্তোলন নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, খনির জন্য টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সংস্থার নাম পাল্টে অন্য একটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে বরাত দেওয়ার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ বসু বলেন, “স্থানীয়েরা প্রকল্পে রাজি নন। একটি বেআইনি প্রকল্পে কী ভাবে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক, পরিবেশমন্ত্রক ছাড়পত্র দেয়?” প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, স্থানীয় জনজাতিভুক্ত মানুষেরা চাকরি পাননি বলেও অভিযোগ। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানান, মহম্মদবাজার পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকায় মাটির নীচে জল পেতে ২৫০-৩০০ ফুট গভীরে যেতে হচ্ছে। এই কয়লাখনি চালু হলে আগামী দিনে জল মিলবেই না। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান রামজ-ও এই প্রকল্প নিয়ে তদন্তের দাবি জানান।