• বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পথে মেট্রোভাড়া প্রকাশ্যে
    আনন্দবাজার | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • আগামী ২২ অগস্ট ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত পথ জুড়ে যাওয়ার সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ রয়েছে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথ চালু হওয়া নিয়েও। ওই মেট্রোপথে বিমানবন্দর থেকে যশোর রোড পর্যন্ত ন্যূনতম ভাড়া পাঁচ টাকা। পরের স্টেশন দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা। তবে, বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ৬.৭৭ কিলোমিটার পথের জন্য গুনতে হবে ২০ টাকা। পরের দিকে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো অথবা এসপ্লানেড থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বিভিন্ন দূরত্বের জন্য নির্দিষ্ট মেট্রোর ভাড়া যুক্ত হবে।

    সেই নিয়মে বিমানবন্দর থেকে উত্তরে দক্ষিণেশ্বর, বরাহনগর-দমদম এবং দক্ষিণে বেলগাছিয়া পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা। আবার, বিমানবন্দর থেকে শ্যামবাজার হয়ে সেন্ট্রাল পর্যন্ত সংযুক্ত সফরে ভাড়া পড়বে ৩৫ টাকা। বিমানবন্দর থেকেই চাঁদনি চক হয়ে মহানায়ক উত্তমকুমার পর্যন্ত ভাড়া হবে ৪০ টাকা। কোনও যাত্রী তারও পরে কুঁদঘাট সংলগ্ন নেতাজি কিংবা কবি সুভাষ গেলে তাঁকে গুনতে হবে ৪৫ টাকা। তবে, বিমানবন্দর থেকে এসপ্লানেড হয়ে হাওড়া অথবা শিয়ালদহ স্টেশন গেলে যাত্রীদের দিতে হবে ৫০ টাকা। কিন্তু সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পৌঁছলে গুনতে হবে ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে সেক্টর ফাইভ স্টেশনের ভৌগোলিক দূরত্ব কম হলেও তিনটি মেট্রোর সংযুক্ত পথের কারণে ওই ভাড়ার হার বাড়বে।

    নতুন দু’টি মেট্রোপথ খুলে গেলে হাওড়া এবং শিয়ালদহ রেল স্টেশন পরস্পর সংযুক্ত হওয়া ছাড়াও দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন নতুন করে পূর্ব রেলের ওই স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় যাত্রীরা মাত্র ১১ মিনিটে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পৌঁছতে পারবেন। সড়কপথে ওই দূরত্ব যেতে যানজটের কারণে এক ঘণ্টারও বেশি লাগে।

    তবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো বেলেঘাটা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলেও বেলেঘাটা স্টেশন এবং তার আগের বরুণ সেনগুপ্ত স্টেশন ব্যবহার করা নিয়ে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সায়েন্স সিটি সংলগ্ন বরুণ সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশনের কিছু দূরে রাস্তা পারাপারের আন্ডারপাস থাকলেও বেলেঘাটা স্টেশনের কাছে সেই ব্যবস্থা করা যায়নি। কাদাপাড়ার দিকে ফুট ওভারব্রিজের সিঁড়ি এবং এসক্যালেটর বসে গেলেও ফুটব্রিজ নির্মাণ করা যায়নি। মেট্রোপলিটন মোড় পর্যন্ত সংযোগের জন্য ময়লা খালের উপরে সেতু তৈরি হলেও ওই রাস্তাও পুরো উপযুক্ত নয়। বাইপাসের একাধিক হোটেল সংলগ্ন এলাকার যাত্রীদের ওই মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যস্ত বাইপাস পারাপারের ঝুঁকি নিতে হবে। যা পরোক্ষে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেট্রোকর্তাদের দাবি, এ নিয়ে কথা চলছে। যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা মেটানো যায়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)